শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের ১২ ক্রিকেটার আইপিএলের নিলামে, কার ভিত্তিমূল্য কত? ◈ স্ত্রীর মোহরানাও ঋণের অন্তর্ভুক্ত, অনাদায়ে স্বামীর ঘাড়ে তা ঋণ স্বরূপ বহাল থাকবে ◈ খাদ্য অধিদপ্তরের চাল মজুদ করে ব্র্যান্ডের প্যাকেটে বিক্রি ◈ ‘মাকে হত্যা’ করে ফ্রিজে রাখার ঘটনায় নতুন মোড় ◈ দায়বদ্ধতা থেকেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ইস্যুতে ভারতের প্রভাবের কাছে নত হতে হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ◈ আরও একটি নতুন রাজনৈতিক জোটের আত্মপ্রকাশ ◈ জিল্লুর রহমানের যত অভিযোগ সাবেক দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে! ◈ মালয়েশিয়ায় ৪০ বাংলাদেশি নারী-শিশুসহ ৫১ জন অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার ◈ জুলাই বিপ্লবের ১শ' দিন পরও আহতদের চিকিৎসার রোডম্যাপ দিতে পারেনি : উমামা ফাতেমা(ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৪৩ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১১:৪৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় মূল্য এখন ৮৮ টাকা

সিরাজুল ইসলাম: বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবেই এক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে ১ টাকা পর্যন্ত। গত প্রায় এক মাস ধরে প্রতি ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৮ টাকা লেনদেন হচ্ছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, গত মাসে প্রতি ডলারের দাম ছিলো ৮৭ টাকা। এখন ৮৮ টাকায় ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। যদিও ব্যাংকে ৮৪ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। যারা ভ্রমণ করতে বিদেশে যাচ্ছেন, তাদের এখন ৮৭ থেকে ৮৮ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে ডলার। ডলারের মূল্য ব্যাংক এবং খোলা বাজারের সঙ্গে ৪ টাকারও বেশি ব্যবধান থাকায় প্রবাসীরা ব্যাংক ব্যবস্থার বদলে হুন্ডিতে রেমিটেন্স পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এই গবেষক বলেন, ডলারের মূল্য বাড়লে আমদানি করা পণ্যের মূল্যও বেড়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যায়। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ সমস্যায় পড়েন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, এক বছর আগে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারের দর ছিল ৮৩ টাকা ৯৫ পয়সা। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এটি ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, এখনও প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলেই রেমিটেন্স পাঠাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) তারা ১ হাজার ১০৪ কোটি ১৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এই অর্থবছর শেষে রেমিটেন্স ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দর ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ পণ্য আমদানিতে প্রতি ডলারে ব্যয় করতে হয়েছে ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। বর্তমানে প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডলারের মূল্য বাড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হন আমদানিকারকরা। অন্যদিকে লাভবান হন রফতানিকারক ও রেমিটেন্স প্রেরণকারীরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারিতে প্রতি ডলার মূল্য হয়েছে ৮৪ টাকা ৯৫ পয়সা। গত বছরের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ৮৪ টাকা ৯০ পয়সা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের মূল্য বাড়ে পাঁচ পয়সা। পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে ২০ পয়সা বেড়ে হয় ৮৪ টাকা ১৫ পয়সা। মার্চে ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ২৫ পয়সা। এপ্রিলে আরও ২০ পয়সা, মে মাসে আরও পাঁচ পয়সা বেড়ে ডলারের মূল্য দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৫০ পয়সায়। এরপর জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে স্থিতিশীল থাকলেও অক্টোবরে ২৫ পয়সা বেড়ে ডলারের মূল্য দাঁড়ায় ৮৪ টাকা ৭৫ পয়সায়। নভেম্বর মাসে আরও ১৫ পয়সা বাড়ে।

অবশ্য টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্য বাড়লেও ইউরোর মূল্য খানিকটা কমছে। বছরের (২০১৯) শুরুতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ইউরোর মূল্য ছিল ৯৬ টাকা ১৯ পয়সা। বছর শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৪ টাকা ৯০ পয়সা। এই হিসাবে এক বছরে টাকার বিপরীতে ইউরোর মান কমেছে এক টাকা ২৯ পয়সা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, ১২ ফেব্রুয়ারিতে ইউরোর দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৯২ টাকা ৭৪ পয়সায়। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়