মাসুদ রানা : বাংলাদেশ থেকে কানাডায় অর্থ পাচারকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে বাঙালি-কানাডিয়ানদের মধ্যে। যদিও এটি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে হয় না, তবুও এর আবেদন নেহায়েতই কম নয়। আগে যারা লুটেরা অর্থ পাচারকারীদের সম্পদে মুগ্ধ হয়ে তাদের খাতিরযতকরতেন, এখন আন্দোলনের চাপে তাদের অনেকেই সেই মুগ্ধতার উপর রূপতঃ একটি মুখোশ সেঁটে ‘লুটেরা রুখো’ স্লোগানে শামিল হয়ে নিন্দা জ্ঞাপন করছেন। এদের ভাবখানা এমন, যেন তারা এইমাত্র এই লুটেরাদের পরিচয় জানতে পেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। লুটেরাদের পরিচয় তাদের জন্য মোটেও নতুন করে জ্ঞাত হওয়ার নয়। গতকাল যারা লুটেরাদের বান্ধব ছিলেন, আজ তারা লুটেরাদের নিন্দুক। অবশ্য এর অর্থ এই নয় যে, আগামী পরশু তারা পুনরায় লুটেরাদের পায়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন না কিংবা সেলফি তুলে নিজের মহিমা প্রচার করবেন না। তাদের জন্য সত্যি আমার করুণা হয় এই দেখে যে, তারা কোনো না কোনো প্রকারে নিজের প্রচার চায়, নাম চায়, প্রশংসা চায় কে জানে হয়তো বিত্ত ও বৈভবও চায়। বেচারা।
পরিশেষে প্রত্যাশা করবো বাংলাদেশি লুটপাটের বিরুদ্ধে কানাডার গণপ্রতিরোধ তীব্রতর হয়ে বাংলাদেশে আছড়ে পড়ুক এবং সমগ্র বাঙালি জাতির মধ্যে লুটেরাদের প্রতি প্রত্যাখ্যান তৈরি হোক। তবে প্রাসঙ্গিক সতর্কতা উচ্চারণ করে এটিও বলবো, লুটেরাবিরোধী আন্দোলনকারীরা যেন ‘রাজাকারের সন্তান রাজাকার’ ঠাওরানোর মতো ‘লুটেরার সন্তান লুটেরা’ সূত্রে পিতার অপরাধের জন্য জায়া-পুত্র-কন্যাকে ‘স্টিগামাটাইজ’ বা কলঙ্কিত না করেন, যদি না তারাও স্বামী বা পিতার মতো নিজেরাও লুটেরা হন। ০৯/০২/২০২০, ল-ন, ইংল্যান্ড