শিরোনাম
◈ এক মাস ধরে আমার পরিবার বাজার থেকে খোলা সয়াবিন তেল কিনে খাচ্ছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা ◈ ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন ফখরুল, খসরু, লন্ডন থেকে যাচ্ছেন জাইমা রহমানও ◈ খালেদা জিয়াকে পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের চিঠি ◈ শিক্ষা উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের, অবরোধ ঘিরে সতর্ক পুলিশ ◈ ভিক্ষাবৃত্তিকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করল যেসব দেশ ◈ সিলেট-১০ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রীডে আসছে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ◈ বিশেষ অভিযানে কিশোর গ্যাংয়ের ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার ◈ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ভারত ◈ যে কারণে লাল গালিচা ব্যবহার করে খাল খননের উদ্বোধন করেন ৩ উপদেষ্টা ◈ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার করতে হবে: তারেক রহমান

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:০৩ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ০৯:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ ডাকলে ভোটের লড়াইয়ে নামতে প্রস্তুত এম মনজুর

সিরাজুল ইসলাম: আওয়ামী লীগ থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিএনপির সমর্থন নিয়ে হন মেয়র। পরের নির্বাচনে পরাজয়ের পর রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে শুরু করেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তোড়জোর শুরুর পর নানাজনের কথায় মনজুরের নামও আসছে ঘুরেফিরে। তিনি বলেন, ডাক পেলে ঢাকায় যাব। দল চাইতে হবে, না হলে ঢাকায় গিয়ে লাভ কী? এর বাইরে আমার কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মনজুর দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন, কিন্তু মনোনয়ন পাননি। চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে নৌকার মেয়র প্রার্থী হতে ইতোমধ্যে আটজন ঢাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।

বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের পাশাপাশি মেয়র প্রার্থী হতে চাইছেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও। ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নাছিরের কাছেই হেরেছিলেন সেই সময়কার বিএনপি নেতা মনজুর। সেবার ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। এর আগে ২০১০ সালের নির্বাচনে ৪ লাখ ৭৯ হাজার ১৪৫ ভোট পেয়ে নিজের রাজনৈতিক গুরু এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রায় ৯৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মনজুর। তার আগে মনজুর আলম তিন দফায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর (কমিশনার) ছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী মেয়র থাকাকালে বিভিন্ন সময় ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মনজুরের বাবা আবদুল হাকিম কন্ট্রাক্টর ছিলেন পাহাড়তলি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্যও ছিলেন। ২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন মনজুর, যদিও পরে আবার পুরনো দলে ফিরে সংসদ নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন।

এ বিষয়ে মনজুর বলেন, রাজনীতি করব না বলেছিলাম, সাথে এটাও বলেছিলাম সমাজসেবা করে যাব। সেই কমিটমেন্ট আমি রেখেছি। এক মিনিটের জন্যও সমাজসেবা থেকে বিচ্যুত হইনি। এটাও একটা দায়িত্ব পালন। মানুষের প্রতি দায়িত্ব পালন আমি করে গেছি।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতু্ন্নেছা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মনজুর নিজ এলাকা কাট্টলীসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং সমাজসেবা মূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে যুক্ত। এবারও নির্বাচনে আগ্রহী হলেও দলের মনোনয়ন না পেলে সে পথে হাঁটবেন না বলে জানান মনজুর। যেহেতু দলীয় মনোনয়নেই নির্বাচন হচ্ছে, তাই দলের মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করা সম্ভব না সূত্র: বিডিনিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়