হাসান মামুন : একটি ইলেকট্রনিক মিডিয়ার পরিচালকের কানাডায় অর্থসম্পদ পাচার নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে প্রতিবেদন করেছে একটি অনলাইন পত্রিকা। দেশে তো অনেক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান। ক্ষুব্ধ একজন জানালেন, অন্যরা এ নিউজ নাকি করেননি। একটি পত্রিকা করার পরও তারা অবশ্য প্রতিবেদন করতে পারেন। সে সুযোগ রয়ে গেছে। তবে ‘কাক কাকের মাংস খায় না’Ñ লাইনে নিউজ হওয়ার মতো বস্তু চেপে যাওয়াটা ঠিক নয়।
সবাই বোকা বা উদাসীন নয়; কিছু মানুষ অন্তত এসব লক্ষ করে। এও ঠিক, ওই ইলেকট্রনিক মিডিয়াটি ব্যবহার করে তিনি সম্পদ বানিয়েছেন বলে খবর নেই। তার তো অন্যান্য কাজ-কারবার রয়েছে। হতে পারে, ওগুলোর অস্বচ্ছতা আড়াল করতে তিনি মিডিয়ায় এসেছিলেন এবং ছিলেন। তিনি ও তারা অবশ্য ওই ইলেকট্রনিক মিডিয়াটি যতের সঙ্গে করেননি। হতে পারে, অন্য কারণেও সেটি সফল না হয়ে ‘সিক’ হয়ে পড়েছে। ওখানে শুনি বেতন হয় না আর লোকের চাকরিও চলে যায়। কিন্তু পরিচালক বা মালিকের সম্পদ তো বেড়ে উঠেছে। আর অন্যান্য ক্ষেত্রে যা-ই হোক, এক্ষেত্রে অভিযোগ গেছে দুদকে এবং তার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অনেক কিছু।
বেরিয়ে যখন এসেছে, প্রতিবেদন করতে অসুবিধা কী? নিজেরা তো কিছু বের করেননি, ভাই আর ‘মিডিয়ার লোক’ হলে তো করবেনও না। নাকি ভয় যে, এসবে মাথা ঢুকিয়ে দিলে নিজ মালিকদের খবরও না ফাঁস করে দেয় অন্যে! আসলে কথা সেটা নয়। সুশাসন থাকলে মিডিয়া-ফিডিয়া করেও কারও কোনো ফায়দা হতো না। উল্টোপাল্টা করলেই ধরা পড়তো যে কেউ। সে অবস্থা তৈরির ধারেকাছ দিয়েও যেতে পারছি না আমরা। সংকট আসলে ওখানে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :