মুশফিক ওয়াদুদ : হুজুর, মসজিদের ইমাম, অন্যান্য র্ধীয় নেতা আর স্কুলের মাস্টারদের নিয়ে আমাদের সমাজে একটি ন্যারেটিভ তৈরি হয়ে আছে। তারা থাকবেন গরিব, ছেঁড়া পাঞ্জাবি-পায়জামা অথবা শার্ট-প্যান্ট পরবেন এবং অর্থকষ্টে থাকবেন । কে এই ন্যারেটিভ তৈরি করেছে বলা মুশকিল। তবে মিডিয়া এবং পপুলার কালচারের ভূমিকা আছে। এখন এই ন্যারেটিভের বিপরিতে কিছু দেখলেই পাবলিকের একটি অংশ আর মেনে নিতে পারেন না।
একজন গায়ক অথবা নায়ক বিলাস বহুল গাড়িতে চড়তে পারবেন অথবা একজন শাসক দলের ছাত্র নেতা যদি হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করতে যান সেটা খুব বেশি সমস্যা নয়, কিন্তু একজন ধর্মীয় নেতা দামি গাড়ি অথবা হেলিকল্টারে চড়তে পারবেন না। কারণ আমাদের ফ্রেমিং হলো ধর্মীয় নেতাদের কে গরিব থাকতে হবে, গরিব পরিবার থেকে আসতে হবে। কিন্তু ঠিক কোন যুক্তিতে একজন র্ধীয় নেতা দামি গাড়ির মালিক হতে পারবেন না, এর উত্তর ‘প্রগতিশীল’ বিবেকের কাছে পাওয়া কঠিন।
আমাদের প্রগতিশীল ভাই-বোনদের সারা জীবনের ন্যারেটিভ হলো, মাদ্রাসা হলো আনপ্রোডাকটিভ। মাদ্রাসায় পড়ালেখা করে বেকার তৈরি হয়। গরিব আরও গরিব হয়। আবার মাদ্রাসায় পড়ে একজন যদি দামি গাড়ির মালিক হয়ে যান সেইটা আবার ‘প্রগতিশীল’ ভাই বোন রা মেনে নিতে পারেন না। তাদের কে বোঝা বড় মুশকিলের কাজ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :