মাজহারুল ইসলাম : আল্লাহর রহমত বান্দার জন্য সবচেয়ে বড় অনুগ্রহ। তার অনুগ্রহ লাভে বান্দার একমাত্র কাজ। যেসব কাজে আল্লাহর রহমত লাভ হবে, আল্লাহর প্রতি বান্দার ভালোবাসা বেড়ে যাবে, সেসব আমল করাই মুমিন বান্দার জন্য আবশ্যকীয় কাজ। কেননা আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য অসংখ্য নেয়ামতে দুনিয়া ভরপুর করে দিয়েছেন। হৃদয়ে আল্লাহর ভালোবাসা বাড়াতে পারলে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনও থাকবে তার নেয়ামতে ভরপুর। সুতরাং বান্দার উচিত আল্লাহর ভালোবাসা পেতে ওইসব আমল বেশি বেশি করা। আর তাহলো, বুঝে বুঝে কুরআন অধ্যয়ন করা।জাগোনিউজ
কুরআনুল কারিম তেলাওয়াতের পাশাপাশি কুরআনের ভাব ও ভাষা বুঝে কুরআন অধ্যয়ন করা। সে আলোকে জীবন সাজানো। কুরআনের হুকুমগুলো যথাযথ আদায় করা। কুরআনের প্রতি প্রেম ও ভালোবাসা বাড়ানো। কুরআনের ভালোবাসাই বান্দাকে আল্লাহর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করাতে পারে।
জিকিরে মাশগুল থাকা। ব্যস্ততা কিংবা অবসর, সব সময় আল্লাহর জিকিরে নিজেদের জবানকে সিক্ত রাখা। আল্লাহর জিকিরে বান্দার সঙ্গে আল্লাহর ভালোবাসা বেড়ে যায়।
বেশি বেশি সুন্নাতের আমল করা। ফরজ ও ওয়াজিব বিধান পালনের পর বেশি বেশি সুন্নাতের আমল ও নফল ইবাদত করা। সুন্নাত ও নফল ইবাদত দ্বারাই বান্দার ইবাদতের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে। আর তাতে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার মহব্বত সৃষ্টি হবে।
রাসুলুল্লাহ (সা:) হাদিসে বলেছেন, আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার বান্দার ফরজ ও ওয়াজিব ইবাদতের মাধ্যমে আমার নিকটবর্তী হতে থাকে। এরপর সে সুন্নত ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে আমার নিকটতম হয়। যখন সে আমার নিকটতম হয়, আমি তাকে ভালোবাসি। আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে, তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে হাঁটে, তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে। (সুবহানাল্লাহ)
সৎ মানুষের সোহবত। যারা আল্লাহর বিধানগুলো যথাযথ মেনে চলে, এমন ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা। কাউকে ভালোবাসতে হবে আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্য, আবার কাউকে ঘৃণা করলেও তা করতে হবে আল্লাহ ও তার রাসুলের জন্য।
আল্লাহর গুণবাচক নামের জিকির করা। আল্লাহ তাআলার ৯৯টি নাম রয়েছে। যারা এ নামগুলো পড়বে, আমল করবে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের ঘোষণা। সুতরাং মানুষের উচিত আল্লাহর গুণবাচক নামের আমল নিজেদের মধ্যে বেশি বেশি জারি করা। আর এতে আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সুসম্পর্ক তৈরি হয়। বান্দার অন্তরে আল্লাহর ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।