আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের কোয়াকতাও টাউনশিপে নএই ঘটনায় আরও ৪জন গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা বলছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে এই অঞ্চলে বড় ধরণের সংঘর্ষে লিপ্ত আছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। ইরাবতি
স্থানীয় সুত্রের খবর, থংবে গ্রামে সোমবার ভোর ৪টার দিকে শেলবর্ষণ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গোলন্দাজ ইউনিট। নিহত কিশোরের আত্মীয় কালু ইরাবতী নিউজকে বলেন, ‘ছেলেটি মাথায় আঘাত পেয়েছিলো। তাকে সিতওয়ের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়। পরে তার লাশ গ্রামে ফেরত আনা হয়।’
আহত বাকিদের কাওয়াকতাও এর একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। থংবো গ্রামের কয়েকজর জানান, গোলন্দাজ ইউনিট নয়, হামলা চালানো হয়েছে স্থানীয় কালাদান নদির উজানে থাকা নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে। এই ছেলেটির মৃত্যু ছাড়াও ৪টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিদ্ধস্ত হয়ে যায় এবং একটি গরু মারা যায়।
কালু আরও বলে, ‘আমার গোয়ালের ছাদে একটি মেল এসে পড়ে। আমরা সেসময় ঘুমাচ্ছিলাম। আমি নিশ্চিত নই কি হয়েছিলো। তবে এটুকু বলতে পারি নদীতে থাকা জাহাজ থেকেই এই হামলা হয়েছে।’
রোহিঙ্গারা ছাড়াও স্থানীয় রাখাইনরা জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে হুট করে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে মিয়ানমার। আকাশে উড়তে দেখা যাচ্ছে হিন্দ গানশিপকেও। নৌপথে টহল দিচ্ছে নৌবাহিনীর পেট্রোল ভেসেলগুলো। সীমান্তরেখা বরাবর বাড়ানো হয়েছে গোলন্দাজ উপস্থিতিও।
বিষয়টি নিয়ে জানতে ইরাবতি যোগাযোগ করেছিলো সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন এবং তাতমাদাও পশ্চিম কমাণ্ডের মুখপাত্র কর্নেল উইন জাও ওর সঙ্গে। তারা কেউ মন্তব্যে রাজি হননি। তবে ইরাবতির সিতওয়ে ব্যুরো প্রধান জানিয়েছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, তারা যুদ্ধপ্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আপনার মতামত লিখুন :