সুজন কৈরী : সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কতুবপুর এলাকার এম. কে ফুডস্ ও এম.এম কনজুমার নামক ২টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব-১১। প্রতিষ্ঠান দুটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে অননুমোদিত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুড শরবত এবং বিভিন্ন ব্রান্ডের ভেজাল কয়েল তৈরি করছিলো। এ ঘটনায় আটক ১২ জন হলেন- সুমন মোল্লা, রকিবুল ইসলাম, ফয়সাল আহম্মেদ, রাজু বেপারী, খায়রুল আলম, হাবু বেপারী, রাকিব হোসাইন, আব্দুর রহমান, আশরাফুল ইসলাম, তাহমীদ ইসলাম, আনোয়ার হোসেন এবং রাশেদ গাজী। যৌন উত্তেজক শরবত ও কয়েল পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি কাভার্ড ভ্যানও জব্দ করা হয়।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এম.এম কনজুমার দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জাম্বু, গাংচিল, ইগলু, ম্যাক্স, নাইট মাস্টার ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করছে। এম.কে ফুডসের উৎপাদিত যৌন উত্তেজক লায়ন ফুডস শরবতগুলো প্যারাসিটামল পাউডার, টেস্টি সল্ট, স্যাগারিন, এমপিএস, ব্যাফেন, এসএস পাউডার, সোডিয়াম পাউডার, সাইট্রিক এসিড, ঘাম, ঘন চিনি, সাধারণ চিনি, ফ্লেভার ও রংসহ মোট ১৬টি ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই অননুমোদিত ভেজাল কয়েল ও যৌন উত্তেজক শরবত উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানীর টেকনিশিয়ানের প্রর্যালোচনায় দেখা যায় কারখানা দুটি দীর্ঘদিন ধরে প্রতি মাসে ৩০ লাখ ২৪ হাজার টাকার গ্যাস চুরি করছে। অভিযানকালে তিতাস গ্যাস কোম্পানী কর্তৃপক্ষ কারখানাগুলোর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে।
আপনার মতামত লিখুন :