ইমরুল শাহেদ : ঢাকার চলচ্চিত্রের গোড়াপত্তনের তারকা শবনম জানালেন, তিনি সম্প্রতি এফডিসিতে ঢুকতে গিয়ে থমকে গিয়েছিলেন। তার গাড়ির ড্রাইভার বলেছিল, ‘আমাদেরকে এফডিসিতে ঢুকতে দেবে না।’ ড্রাইভারের ধারণা ছিলো এখন যারা এফডিসির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন তারা শবনমকে চিনবেন না কিন্তু শবনম তাকে বললেন, ‘তুমি ভিতরে ঢুকো।’ ড্রাইভার গাড়ি ভিতরের দিকে টান দিলে প্রহরীরা আটক করলেও তাৎক্ষণিকভাবে ছেড়ে দেয়।
এরপর তিনি এফডিসির এক নাম্বার ফ্লোরের সামনে গিয়ে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর এফডিসিতে একটি চক্কর খেয়ে বেরিয়ে যান। এ রিপোর্টারের সঙ্গে সেলফোনে কথা বলার সময় তিনি উল্লেখ করেন, তিনি যখন চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন, ওই একটি মাত্র ফ্লোরই ছিলো। তার মাত্র কয়েক বছর আগে বিজি প্রেস থেকে এফডিসি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি যখন এফডিসি চক্কর খাই তখন আমার কাছে মনে হয়েছে একটি রমরমা প্রতিষ্ঠান যেন এতিমের মতো একা দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও কাউকে দেখতে পেলাম না।’ তিনি প্রশ্ন করেন, কেন এমন হলো? চলচ্চিত্র শিল্প কি কোনোদিনই প্রাণ ফিরে পাবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি হয়তো আর বেশিদিন বেঁচে থাকবো না কিন্তু চলচ্চিত্র শিল্পের এই হাল দেখে যেতে খারাপই লাগবে। সবাই মিলে কি শিল্পটাকে জাগিয়ে তোলা যায় না।’ শবনম অনেকটা আবেগ আপ্লুতভবেই কথাগুলো বললেন।
ষাট দশকের আলোড়ন সৃষ্টিকারী এই নায়িকা এখন কাজ করেন না। অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন চলচ্চিত্রশিল্প থেকে। ধারাবাহিকতার অভাবে দর্শকের সঙ্গেও তার তৈরি হয়েছে বড় ধরনের দূরত্ব। ১৯৪০ সালের ১৭ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। এহতেশামের এদেশ তোমার আমার ছবি দিয়ে তার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু হলেও তিনি মুস্তাফিজ পরিচালিত হারানো দিন ছবি দিয়ে তারকা হয়ে ওঠেন। এই ছবিটি নির্মিত হয় ১৯৬১ সালে। এরপর পরবর্তী তিন দশক আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বাংলা এবং উর্দু ছবিতে তিনি একাধিপত্য বজায় রাখেন দীর্ঘদিন।
আপনার মতামত লিখুন :