রাশিদ রিয়াজ : ভারতে সিএএ প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে সোমবার সংসদে। সকালেই অনুরাগ ঠাকুরকে উদ্দেশ্য করে চেঁচামেচি করেছিলেন বিরোধী সাংসদরা। তুমুল গন্ডগোলের জেরে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভার অধিবেশন। বিরোধীদের হইচইয়ের জেরে স্পিকার ওম বিড়লা অধীরকে জিরো আওয়ারে বলার অনুমতি দেন। বলতে উঠেই অধীররঞ্জন চৌধুরি কেন্দ্রকে এই ভাষায় কটাক্ষ করেন যে, সরকার কখনও এতো মানুষের কণ্ঠ রোধ করতে পারে না।
সিএএ প্রতিবাদীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে অধীর বলেন, ‘সংবিধান আর জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর সময় নিরীহ, নিরস্ত্র প্রতীবাদীদের উপর গুলি চালানো হচ্ছে। নির্দয়ভাবে মানুষদের মারা হচ্ছে।’ এরপরই নাম না করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির উপর তোপ দেগে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রকৃত নয়, ভুয়ো হিন্দুরাই এভাবে গুলি চালাচ্ছে।’
অধীরের ভাষণের প্রেক্ষিতে স্পিকার বলেন, নাগরিক আইন নিয়ে আগেই সংসদের দুই কক্ষে বিস্তারিত আলোচনা হয়ে গিয়েছে। একবার যা সংসদে আলোচনা হয়ে যায় পরে আর সেই একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না সংসদে। সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, বিরোধীরা যদি এটা নিয়ে আলোচনা চান, তাহলে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় ‘মোশন অফ থ্যাংক্স’–র সময়ে এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন।
এর আগে এই ইস্যুতে সকালেই কংগ্রেসের আনা মুলতুবি প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। সকালে সংসদের বাইরে অধীর বিজেপিকে বিঁধে বলেছিলেন, দিল্লিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের গুলি মারার ভয় দেখিয়ে আতঙ্কিত করতে চাইছে শাসকদল। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে কিন্তু তিনি এব্যাপারে নিশ্চুপ। পুলিসও শাসকদলের হাতের পুতুল বলে অভিযোগ করেছিলেন অধীর।
আপনার মতামত লিখুন :