শিরোনাম
◈ বাংলাদেশিদের নিয়ে এবার অদ্ভুত দাবি অমিত শাহর ◈ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের জামায়াতে ইসলামের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক নেই : জাহিদুল ইসলাম ◈ আ.লীগসহ ২৫ দলের মতামত না চাওয়ার কারণ জানালো নির্বাচন সংস্কার কমিশন ◈ দেশ টিভির এমডি আরিফ হাসান আটক ◈ ভারত-চীনের সাথে ‘কৌশলগত ভালো সম্পর্ক’ থাকায় বাংলাদেশকেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন ◈ সাফজয়ী নারী দলকে সেনাবাহিনী ও বিওএ সংবর্ধনা জানাবে, পুরস্কার দেবে কোটি টাকা ◈ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া ◈ বাংলাদেশ গেমস ও যুব গেমস আগামী বছর  ◈ দুই দিন ধরে বাড়িতে ঝুলছিল ইউপি চেয়ারম্যানের লাশ ◈ বাংলাদেশে মমতা ব্যানার্জীর সরকার চলছে, দাবি ভারতের প্রতিমন্ত্রীর (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৫৬ সকাল
আপডেট : ৩০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৮:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবরার হত্যা মামলার চার্জগঠন শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি

মহসীন কবির : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। চ্যানেল২৪ ও যুগান্তর

বৃহস্পতিবার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। তবে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য নতুন এই দিন ঠিক করেন।

অভিযোগ গঠন শুনানি উপলক্ষে কারাগার থেকে ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে ৫ অক্টোবর শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলিট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন। আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ঘটনায় ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এই ২৫ জনের মধ্যে ১১ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন। বাকি ১৪ জনের বিরুদ্ধে ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ১৮ নভেম্বর অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত।

আবরার হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামি এরইমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা হলেন—নাজমুস সাদাত, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, মেহেদি হাসান রবিন, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও মনিরুজ্জামান মনির। বাকিরা পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

চার্জশিটে যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না মোশতুবা রাফি এবং এস এম মাহমুদ সেতু।

এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জিসান, তানিম, মোরশেদ, মোশতুবা রাফি। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়