সমীরণ রায়: রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোপীবাগে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরষিদ সদস্য বলেন, সিটি নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল।সেই মুহূর্তে হামলার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করতে হচ্ছে এটা দুঃখজনক। এ হামলা ইশরাকের সুপরিকল্পিত।বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসছে মনে করে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম, সাধুবাদ জানিয়েছিলাম। গণতান্ত্রিক ধারা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চলবে এই আমাদের আশা-আকাঙ্খা ছিল।
আমু বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফজলে নূর তাপসের নির্বাচনী কার্যালয়ে ওই এলাকার কাউন্সিলর যখন প্রবেশ করেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে আমাদের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা শুরু করে। এটা আগামী দিনে নির্বাচন বানচালের ইঙ্গিত। আগে থেকে বিএনপি নেতারা যা বলে আসছে এটা তার প্রমাণ। প্রার্থীর অফিসের সামনে আট রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে। প্রায় ৫০ জনের মত আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেলে ৩৫ জন ভর্তি আছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় দলের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি নির্বাচন কমিশন এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে বিধিবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও আরও সতর্ক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানাই।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গির কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :