রাশিদ রিয়াজ : শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল কেজেএস ধিলন ও কাশ্মীরের ইনস্পেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ বিজয় কুমার জানান, রোববার প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কাশ্মীরে বড় হামলার ছক কষেছিল জইশ। ওই হামলার আগেই শীর্ষ কম্যান্ডার-সহ তিন জইশ জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে। অবন্তীপোরায় ত্রালে এদিন গুলিতে নিহত হয়েছে জইশের শীর্ষ কম্যান্ডার কারি ইয়াসির। তার দুই সঙ্গীকেও নিকেশ করা হয়েছে। তাদের একজন আবার পাকিস্তানের নাগরিক, নাম মুসা। অপর জঙ্গি পরিচয় বুরহান শেখ। ত্রালেই তার বাড়ি।
ইয়াসির কাশ্মীরে জইশে মোহাম্মদের স্বঘোষিত প্রধান। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরে আইইডি বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড ছিল জইশের এই শীর্ষ কম্যান্ডার। লেথপোরায় আরও একটি আইইডি বিস্ফোরণেও তার যোগ ছিল। কাশ্মীর পুলিশের দাবি, নিহত ইয়াসির ছিল আইইড বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ। পাকিস্তান থেকে আসা জইশ জঙ্গিদের যাবতীয় বিষয়ে খেয়াল রাখা, তাদের নিয়োগের দায়িত্বও ছিল এই জইশ কম্যান্ডারের হাতে।
গত সপ্তাহেই নিগীন লেক এলাকা থেকে জইশের ৫ জঙ্গিকে পাকড়াও করে শ্রীনগর পুলিশ। পুলিশের ধারণা, নিহত বুরহান হয় নিজেই সুইসাইড বোম্বার ছিল, নয়তো সে ছিল আত্মঘাতী হামলার মাস্টারমাইন্ড। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কী করে হামলা চালানো হবে, সেই ছক সে-ই কষেছিল।
সেনা সূত্রে খবর, ১০ ঘণ্টা ধরে এনকাউন্টার চলার পরেই এই তিন জঙ্গি খতম হয়েছে। তার আগে নানা ভাবে ওই জঙ্গিদের উপর চাপ সৃষ্টি করেন সেনার অফিসারেরা। জানা গিয়েছে, হাইওয়ে থেকে তিন কিলোমিটার দূরে প্রাক্তন এক সেনা অফিসারের বাড়ির দখল নিয়েছিল ওই জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে সেখানে জঙ্গি-উপস্থিতি টের পেয়ে, দোতলা বাড়িটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়। এনকাউন্টার শুরুর আগে ওই বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
আইজিপি বিজয় কুমার জানান, ইয়াসির ও মুসা দু-জনেই পাক নাগরিক। তবে, বুরহান স্থানীয় জঙ্গি। তিনি জানান, ইদানীং শ্রীনগরে প্রায়শই আইইডি হামলা হচ্ছিল। সেই সূত্রে বারবার উঠে আসছিল বুরহান ও ইয়াসিরের নাম। জানা গিয়েছে, নিহত বুরহান ছিল ইয়াসিরের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড।
আপনার মতামত লিখুন :