রাশিদ রিয়াজ : ভারতে বছরে গড়ে ৫৬,০০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি হয়। এর বড় অংশ আসে চীন থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক পদস্থ আমলা এবং শিল্প মহলের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। ভারতের অধিকাংশ মোবাইল উৎপাদক সংস্থা এখনও বিদেশ থেকে চার্জার, ভাইব্রেটার মোটর এবং রিঙ্গার-সহ নানা যন্ত্রাংশ আমদানি করে। আমদানি শুল্ক বাড়লে তারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে। যে কারণে আগামিদিনে স্মার্টফোনের দাম বাড়ার সম্ভাবনা প্রবল। যদিও এবারের বাজেটে পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাজেট প্রস্তাবে অন্তত ৫০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করতে পারেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী। বাণিজ্য মন্ত্রক এবং শিল্প সংস্থাগুলিকে নিয়ে গঠিত প্যানেলের সুপারিশ অনুসারে এক্ষেত্রে ৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হতে পারে। যার জেরে মোবাইলের চার্জার, শিল্প সংস্থায় ব্যবহৃত রাসায়নিক, ল্যাম্প, কাঠের আসবাব, মোমবাতি, অলংকার এবং আমদানি করা হস্তশিল্প সামগ্রীর দাম বাড়তে চলেছে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংসদে ২০২০-২১ আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বর্তমানে এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে ভারতীয় অর্থনীতি। এমন একটি সময়ে নির্মলার এই বাজেট ঘিরে শিল্প এবং রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন সাধারণ বাজেটে অন্তত ৫০টি পণ্যে আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির ভাবনা নরেন্দ্র মোদী সরকারের। এর মধ্যে আছে ইলেকট্রনিক্স, বৈদ্যুতিন সামগ্রী, রাসায়নিক দ্রব্য এবং হস্তশিল্পজাত সামগ্রী। মন্দায় ধুঁকতে থাকা শিল্প সংস্থাগুলির জন্য এই বাজেটে সঞ্জিবনীর সন্ধান থাকার আশায় শিল্প মহল। যদিও মধ্যবিত্তের জন্য কতটা সুখবর থাকতে তা নিয়ে সংশয়ের অন্ত নেই।
আপনার মতামত লিখুন :