রাশিদ রিয়াজ : ভারতে বিগত আর্থিক বছররের তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে ১৭ শতাংশ অতিরিক্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই বছরের ৩১ মার্চের মধ্যে এই খাত থেকে সাড়ে ১৩ লাখ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক নিম্নগতি এবং কর্পোরেট কর হ্রাসের জোড়া ফলায় বিধ্বস্ত নরেন্দ্র মোদী সরকার। চলতি আর্থিক বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ কর থেকে আয় সংগ্রহ বড় ধাক্কা খেতে চলেছে। নজিরবিহীন ভাবে বিগত দু'দশকের মধ্যে এই প্রথম বার কর্পোরেট এবং আয়কর বাবদ কম আগের বছরের থেকে অর্থ জমা পড়বে সরকারি কোষাগারে। বিশ্বস্ত সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
চাহিদায় ভাটার টানের জেরে সামগ্রিকভাবে ব্যবসায় মন্দা চলছে। ফলশ্রুতিতে নয়া লগ্নিতে রাশ টানার পাশাপাশি চলছে বিপুল কর্মী ছাঁটাই। যার ফলশ্রুতে এই অর্থবর্ষে মাত্র ৫ শতাংশ জিডিপি-র পূর্বভাস দিয়েছে সরকার, যা গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এই সামগ্রিক আর্থিক দুরাবস্থার জেরে প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ বৃদ্ধি তো দূরের কথা, উলটে গত বছরের আয়ের ধরে রাখাতে গিয়ে হিমশিম অবস্থা ভারত সরকারের। এ ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিসংখ্যান নর্থ ব্লকের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সূত্রের খবর, গত ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭.৩ লাখ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহ করেছে মোদী সরকার। গত আর্থিক বছরের এই সময়ে আয়কর এবং কর্পোরেট কর থেকে রাজকোষে আরও ৫.৫ শতাংশ বেশি টাকা জমা পড়েছিল।
গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড বলছে, আর্থিক বছরের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকের তুলনায় শেষ তিন মাসে কর সংগ্রহের পরিমাণ এক ধাক্কায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তা সত্বেও ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের আয়কর এবং কর্পোরেট কর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের আয় কোনও অবস্থাতেই সাড়ে ১১ কোটি টাকার গণ্ডী ছাড়াবে না বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন। আগামী আর্থিক বছরের সাধারণ বাজেটের আগে এই বিষয়টি অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের বিশেষভাবে চিন্তায় ফেলেছে। এইসময়
আপনার মতামত লিখুন :