সিরাজুল ইসলাম : বিজ্ঞানীরা ৩ডি প্রিন্টিংয়ের সাহায্যে একজন মিশরীয় পুরোহিতের কন্ঠ পুনরায় তৈরি করেছেন। তার কণ্ঠনালী ট্র্যাক করে এ শব্দ আবিস্কার করেছেন তারা। ওই পুরোহিত প্রায় তিন হাজার বছর আগে বেঁচেছিলেন। সিএনএন
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তারা যে শব্দটি আবিস্কার করেছিলেন, তা অনেকটা ‘মেহ’র মতো। তবে এখানে ‘ম’ ছিলো না।
আবিস্কার দলের অন্যতম প্রধান লন্ডনের রয়্যাল হলোওয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড হাওয়ার্ড বলেন, শব্দটির মধ্যে ইংরেজি স্বরবর্ণের (ভাওয়েল) পতন ঘটেছে। অনেকটা ‘বেড’ ও ‘ব্যাড’ এর মধ্যকার পার্থক্যের মতো। তিনি মমির শ্বাসনালী থেকে টিস্যু নিয়ে থ্রি ডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে শব্দটি পুনরায় উৎপাদন করতে সক্ষম হন। কারণ টিস্যুগুলো জীবিত ছিলো। তিনি জীবন্ত মানুষের কণ্ঠনালীর টিস্যু নিয়েও থ্রিডির মাধ্যমে শব্দ আবিস্কার করেছেন। নিজের কণ্ঠের শব্দও আবিস্কার করেছেন তিনি। এটা খুবই বাস্তব সম্মত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বৃহস্পতিবার গবেষণাটি ‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টেস-এ প্রকাশিত হয়েছে।
শব্দ, বাক্য নয় : যুক্তরাজ্যের সিটি মিউজিয়াম থেকে পুরোহিত নেসিয়ামুনের গলার টিস্যু নেওয়া হয়। তারপর কম্পিউটার সফটওয়্যার দিয়ে বাতাস থেকে তার শব্দ চিহ্নিত করা হয়। এরপর ৩ডি প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে প্লাসটিক ব্যবহার করে শব্দ পুনরায় উৎপাদন করা হয়। এরপর এটা জুড়ে দেওয়া হয় একটা বিশেষ স্পিকারের সঙ্গে। এ থেকে আসে একটা স্বরবর্ণের শব্দ। এই আবিস্কার ভবিষ্যতের সঙ্গে অতীতের যোগাযোগ স্থাপনে বিশেষ কাজ আসবে
আপনার মতামত লিখুন :