আসিফুজ্জামান পৃথিল: কূটনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আর গাম্বিয়া খুব বেশি ঘনিষ্ট নয়। গাম্বিয়ার আইন ও বিচারমন্ত্রী যখন বাংলাদেশে এলেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে পাশে থাকার অঙ্গিকার করলেন বিষয়টা স্বাভাবিকভাবেই খুব নবেশি আলোড়ন তোলেনি। কিন্তু আবু বকর তামবাদু সত্যই পাশে থাকলেন, রীতিমত ইতিহাস তৈরি করে। বিবিসি
তামবাদু বিবিসিকে বলেন, ‘কক্সবাজার গিয়ে আমি উপলব্ধি করেছি, টেলিভিশনের পর্দায় আমরা যা দেখি, পরিস্থিতি আসলে তার চেয়েও কতটা গুরুতর। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী এবং বেসামরিক ব্যক্তিরা সংগঠিত হামলা চালাচ্ছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে, মায়ের কোল থেকে শিশুদের ছিনিয়ে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনে ছুঁড়ে মারছে, পুরুষদের ধরে ধরে মেরে ফেলছে, মেয়েদের ধর্ষণ করছে এবং সবরকমের যৌন নির্যাতন করছে। ভাবনাটাই ভয়ঙ্কর।’
‘রুয়ান্ডায় তুতসিদের উপর যেরকম অপরাধ করা হয়েছিলো, এটা সেরকমই মনে হচ্ছিলো। এখানে সেই একই রকম কার্যক্রম হয়েছে, অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে গণহত্যার সব বৈশিষ্ট্যই রয়েছে। আমি বুঝতে পারলাম, রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে চিরতরে ধ্বংস করার জন্য এটা মিয়ানমারের সরকারের একটা চেষ্টা।’
বিবিসিকে স্বাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পরেন তামবাদু। তিনি বলেন, ‘যা আমি শুনেছি আর দেখেছি, ব্যক্তিগতভাবে তাতে আমি ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। পেশাগতভাবে আমি চিন্তা করলাম, এসব কাজের জন্য মিয়ানমারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। আর সেটা করার মাধ্যম হলো আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে মামলা করা।’
তামবাদু জাতিসংঘের রুয়ান্ডা ট্রাইবুনালের অন্যতম কৌঁশুলি ছিলেন। তুতসিদের ন্যায়বিচার পেতে কাজ করেছেন তিনি। এবার কাঁধে তুলে নিয়েছেন রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার দেয়ার দায়িত্ব।
আপনার মতামত লিখুন :