রাশিদ রিয়াজ : ভারতে দিলীপ-সৌমিত্রের পর এবার বেলাগাম সায়ন্তন বসু। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের পথে হেঁটে বিদ্বজনদের বিঁধলেন তিনি। ‘বিশিষ্টজনদের ক্ষেত্রে ‘কুকুর’ শব্দটি প্রয়োগে আপত্তি থাকলে তাঁদের ‘বাঁদর’ বলুন,’ একথা বলেই বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতা।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব গোটা ভারত। ক্ষোভে ফুঁসছে ভারতবাসী। পথে নেমেছেন খোদ পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিপূর্ণ পথে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। একই ভাবে আইনের বিরোধিতায় পথে নেমেছেন বুদ্ধিজীবীরাও। সিএএ ও এনআরসির প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। আর সেই কারণেই বারবার বিজেপি নেতৃত্বের দ্বারা বিদ্ধ হচ্ছেন বিশিষ্টজনেরা। দিলীপ ঘোষের পর রবিবার বসিরহাটের সভা থেকে বুদ্ধিজীবীদের তীব্র আক্রমণ করেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বলেন, “যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে রাস্তায় নামছেন, তাঁরা আদতে বুদ্ধিজীবী নন। তাঁদের বলছি, আপনারা শয়তান। যাঁরা শিক্ষক, তাঁরাই আদতে বুদ্ধিজীবী।” বুদ্ধিজীবীরা রাজ্য সরকারের থেকে নিয়মিত টাকা পান বলেই তৃণমূলের সমর্থন করে, এমন বিস্ফোরক অভিযোগও করেন তিনি। বলেন, “যারা পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডে চুপ থাকেন, তাঁরা তৃণমূলের কুকুর ছাড়া আর কিছু নয়।” সৌমিত্র খাঁয়ের এই মন্তব্যকে ঘিরেই শুরু হয় বিতর্ক।
এই পরিস্থিতিতে এবার দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। সোমবার তিনি বলেন, “বিশিষ্টজনদের ক্ষেত্রে ‘কুকুর’ শব্দ প্রয়োগে যদি আপত্তি থাকে, কুকথা বলে মনে হয় সেক্ষেত্রে ‘বাঁদর’ বলতেই পারেন।” সায়ন্তন বসুর এই মন্তব্যেই ফের শুরু বিতর্ক। একের পর এক বিজেপি নেতৃত্বের আক্রমণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিনেতা সুজন মুখোপাধ্যায়। সংস্কৃতিমনস্ক ব্যক্তি হিসেবে গোটা ঘটনাটিকে দুঃখজনক বলেই মন্তব্য করেন তিনি। এই রাজনীতির শেষ কোথায়, প্রশ্নও তোলেন। সবমিলিয়ে দিলীপ-সৌমিত্র থেকে সায়ন্তন বিজেপি নেতৃত্বের নজিরবিহীন আক্রমণে মর্মাহত অভিনেতা।
আপনার মতামত লিখুন :