রাশিদ রিয়াজ : বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে। ছেলের হাতে আশীর্বাদী ‘ধাগা’-ও বেঁধে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু, শেষপর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমাই দিতে পারলেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল । রোড শোয়ে মানুষের ভিড় এড়িয়ে সময়মতো কমিশনারের দপ্তরেই পৌঁছাতে পারলেন না কেজরিওয়াল। মঙ্গলবার ফের রোড শো করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এবছর আপের তরফে নয়াদিল্লি আসনে লড়ছেন কেজরি।
সোমবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে রোড শো করে কমিশনের দপ্তরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। পরিকল্পনামতো দিল্লির ঐতিহাসিক বাল্মীকি মন্দির থেকে রোড শো শুরুও করেন তিনি। কিন্তু, প্যাটেল চক মেট্রো স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই বেলা তিনটে পেরিয়ে যায়। নিয়ম অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য প্রার্থীদের বেলা তিনটের আগে কমিশনারের দপ্তরে পৌঁছাতে হয়। কিন্তু, কেজরি সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। কেজরির সঙ্গে রোড শোতে ছিলেন, উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া, এবং আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং। তাঁদের দাবি, এদিনের ভিড় তাঁদের প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে। তাই, রোড শো ছেড়ে যেতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী।
বাস্তবিকই আপের এই শোভাযাত্রায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। কেজরির নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নয়াদিল্লির রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল আপের প্রতীক ঝাড়ু। এবং তাঁদের মুখে স্লোগান, “আচ্ছে বিতে পাঁচ সাল, লাগে রহো কেজরিওয়াল।” মানুষের ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত কেজরি বলেন, “আমার তিনটের মধ্যে কমিশনারের অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, এত মানুষের ভালবাসা ফেলে আমি কী করে যাব? তাই আগামিকাল আমি মনোনয়ন জমা দিতে চাই।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই মনোনয়ন দেওয়ার শেষদিন।
অনেকে অবশ্য বলছেন, কেজরির এই দেরি করে মনোনয়ন দিতে যাওয়াটা একটা প্রচার কৌশলও হতে পারে। আসলে, মানুষের ভিড় অত্যাধিক হয়েছিল, এটা বুঝিয়ে তিনি বিজেপি এবং কংগ্রেসের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছেন। তাছাড়া নেপথ্যে যে প্রশান্ত কিশোর, তিনি প্রচারের জন্য সবকিছুই করাতে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :