ইয়াসিন আরাফাত : ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টি আবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে তোলা হলে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে দেশটি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাবেদ জারিফ। সোমবার ইরানের একটি বার্তা সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। পার্সটুডে
এসময় জারিফ বলেন, ৩ ইউরোপীয় দেশ ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে সৃষ্ট মতবিরোধ নিরসনের জন্য ‘মশে’ ম্যাকানিজম চালুর যে ঘোষণা দিয়েছে সে ব্যাপারে ইরান আইনগত পদক্ষেপ নেবে।
মূলত ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিষয়টিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নিয়ে ওই সংস্থার মাধ্যমে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করতেই ‘মশে’ ম্যাকানিজম চালু করা হয়েছে। এ সম্পর্কে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার দেশ ইউরোপীয় দেশগুলোকে এক বছর সময় দিয়ে তারপর নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন স্থগিত রাখতে শুরু করে। নতুন করে আর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার কোনো পদক্ষেপ তেহরান নেবে না উল্লেখ করে জারিফ বলেন, ইউরোপীয়রা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা শুরু করলে ইরানও পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করতে শুরু করবে।
আমেরিকা ২০১৮ সালের ৮ মে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে গিয়ে তেহরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় ওই সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইরানকে পরমাণু সমঝোতায় অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা দেয়, তারা আমেরিকাকে ছাড়াই এ সমঝোতায় ইরানকে যেসব আর্থিক সুবিধা দেয়ার কথা ছিল তা বাস্তবায়ন করবে।
কিন্তু এক বছরেও ইইউ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৮ মে ইরান আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারার বাস্তবায়ন স্থগিত রাখে।পরবর্তীতে আরো চার দফা একই কাজ করেছে তেহরান। সর্বশেষ বার ইরান বলে দিয়েছে, এখন থেকে পরমাণু সমঝোতার কোনো বাধ্যবাধকতা তেহরান মানবে না। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :