ইয়াসিন আরাফাত : ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকারের বিশেষ সহকারী ও সাবেক উপমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান রোববার তেহরানে এক সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। জেনারেল সোলায়মানির মৃত্যুর সম্ভাব্য রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিণতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পার্সটুডে
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার আশপাশের মিত্রদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে জেনারেল সোলায়মানিকে হত্যা করা হয়। ইরানের পক্ষ থেকে যদি পাল্টা শক্তিমত্তা প্রদর্শন করে তার জবাব দেয়া না হতো তাহলে মার্কিনীরা শক্তির ভারসাম্যে একধাপ এগিয়ে যেত।
জেনারেল সোলায়মানির মৃত্যুর আগে ও পরে পশ্চিম এশিয়া পরিস্থিতির গুণগত পার্থক্য তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ইরানের এই শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক। তিনি বলেন, ইরানের এই জেনারেলকে হত্যা করার পর পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিনীদের নিরাপত্তা বলে আর কিছু নেই এবং তারা আগের মতো আর স্বস্তিতে তৎপরতা চালাতে পারছে না। জেনারেল সোলায়মানির জানাযার নামাজে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াসহ শীর্ষস্থানীয় ফিলিস্তিনি নেতাদের উপস্থিতির কথা স্মরণ করে আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, জেনারেল সোলায়মানি ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ আন্দোলনের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বলেই ফিলিস্তিনি সংগ্রামী নেতারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে তেহরানে এসেছিলেন। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :