ডেস্ক নিউজ : প্রক্সিমা বি। সম্ভবত নিঃসঙ্গ গ্রহ নয়। সূর্যের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্রে এ গ্রহের সঙ্গী আরেকটি গ্রহ আছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নিশ্চিত হলে প্রক্সিমা সি হবে প্রক্সিমা সেঞ্চুরি নক্ষত্রের দ্বিতীয় গ্রহ। বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক একটি দল বুধবার সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে এ নিয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।আমাদের সময়
২০১৬ সালের আগস্টে প্রক্সিমা বির দেখা মিলেছিল। লাল বামন প্রক্সিমা সেঞ্চুরিকে কেন্দ্র করে ঘোরে এ গ্রহ। আকারে প্রায় পৃথিবীর সমান।
প্রক্সিমা সেঞ্চুরি হলো সূর্যের সবচেয়ে কাছের নক্ষত্র। আলোর গতিতে সেখানে যেতে লাগবে ৪.২ বছর। আলোর গতি সেকেন্ডে ৩০ কোটি মিটার।
প্রক্সিমা বি বাসযোগ্য কক্ষপথে রয়েছে। অর্থাৎ নক্ষত্র থেকে যে দূরত্বে থাকলে তরল জল থাকা সম্ভব, সে রকম দূর দিয়ে সে ঘোরে। তবে গ্রহটি তার নক্ষত্রের সঙ্গে এমন আকর্ষণে বাধা যে, এর একদিক সবসময় নক্ষত্রটির দিকেই মুখ করে থাকে। অনেকটা চাঁদ যেমন পৃথিবীর সঙ্গে বাধা। ফলে গ্রহটার একদিক সবসময় দিন, অপর পাশে সর্বদা অন্ধকার। আর লাল বামন মাত্রই খুবই সক্রিয় নক্ষত্র। এ কারণে সেই নক্ষত্র থেকে অনবরত যে স্ফুলিঙ্গ বেরোচ্ছে, তাতে বহু আগেই প্রক্সিমা বির আবহাওয়া উবে যাওয়ার কথা। এই গ্রহের আবিষ্কারক দলের প্রধান ছিলেন গুলেম আংলাডা-এসকুড, কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি লন্ডনের বিজ্ঞানী। তখন তারা প্রক্সিমা সেঞ্চুরিতে আর কোনো গ্রহের অস্তিত্ব ধরতে পারেননি।
এখন নতুন একটি দল ওই একই নক্ষত্রে দ্বিতীয় গ্রহের সন্ধান দিয়েছে। অবশ্য এ দলেও যুক্ত আছেন গুলেম আংলাডা।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বলছেন, প্রক্সিমা সি পৃথিবীর চেয়ে ছয় গুণ ভারী। এ ধরনের গ্রহকে সুপার-আর্থ বলা হয়ে থাকে।
তবে এ গ্রহে প্রাণের কোনো সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ নিজ সূর্যকে একবার ঘুরে যেতে এটি সময় নেয় পৃথিবীর হিসেবে সোয়া পাঁচ বছর। গবেষণা দলের প্রধান মারিও দামাসো বলেছেন, ‘এত দূর দিয়ে ঘোরার কারণে খুব কম পরিমাণে নিজ নক্ষত্রের আলো পড়ে গ্রহের গায়ে। গড় তাপমাত্রা শূন্যের নিচে ২৩৩ সেলসিয়াস।’ সম্পাদনা:জেরিন