শিরোনাম
◈ চুরি যাওয়া অর্থ ফেরাতে বিশ্বনেতাদের সহায়তা চাইলেন ড. ইউনূস ◈ তানজিদ তামিম বিপিএলে সর্বোচ্চ রান ও ছক্কা হাঁকানোর শীর্ষে ◈ আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম   ◈ নারীর পোড়া লাশ পড়ে ছিল ঝোপের ভেতর, ওড়না-জুতা পড়ে আছে পাশে  ◈ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহন করবে কি করবে না ? সাংবাদিক মাসুদ কামাল এ বিষয়ে যা বললেন ◈ ভ্যাট বাড়ানোর সাথে মহার্ঘ ভাতার কোনো সম্পর্ক নেই: অর্থ উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা ◈ চালকের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণে গাড়ি থেকে নায়িকার লাফ ◈ হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া লড়াইয়ে খুলনাকে হারালো ফরচুন বরিশাল ◈ সাইফের ১৫ হাজার কোটি টাকার পারিবারিক সম্পদ ভারত সরকার দখল নেবে!

প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৮ দুপুর
আপডেট : ১৬ জানুয়ারী, ২০২০, ১২:৫৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে

মাজহারুল ইসলাম : আচরণবিধি লঙ্ঘনের ওইসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রঙিন পোস্টার ও ফেস্টুন, হামলা, যান চলাচলে বিঘ্ন, নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন এবং পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা। দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে এ ধরণের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন থেকে অনেক প্রার্থীকে ডেকে সাবধান করা হচ্ছে এবং অনেককে শোকজ করাও হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাশেম জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের ৮ থেকে ১০টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি অভিযোগে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গতকাল ৫টি ওয়ার্ড পরিদর্শনকালে আমরা দুই মেয়র প্রার্থীর পোস্টার ঝুলতে দেখেছি। তবে এর মধ্যে ১টি ওয়ার্ডে একাধিক লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে দেখে আমরা ওই কাউন্সিলর প্রার্থীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছি। আওয়ামী লীগ বা বিএনপি’র যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম আরও জানান, আমরা সম্পূর্ণ, স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছি। প্রত্যেকেই আমাদের প্রার্থী। কেউ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে অনূর্ধ্ব ৬ মাসের কারাদন্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

ঢাকা দক্ষিণে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২ থেকে ৩’শ লোকজন নিয়ে হামলার অভিযোগ করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জহিরুল হক ভুঁইয়া। তিনি বলেন, অভিযোগ দায়ের করার পর প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীকে শোকজ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আবদুস সাহেদ মন্টু প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি দেয়ার অভিযোগ করেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জাতীয় পার্টি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে পোস্টার ও ফেস্টুন লাগানোর অভিযোগ করেছেন। ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. লিয়াকত আলী তার বাড়ির সামনের রাস্তা দখল করে ক্যাম্প স্থাপনের অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

জানা যায়, তফসিল ঘোষণার একদিন পর ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা দুই সিটিতে নামেন ৪৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ইতোমধ্যে দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা স্ব স্ব ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে বৈঠক করে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন ম্যাজিস্ট্রেটরা কোথায় কোথায় পরিদর্শন করেছেন, কোথায় কোথায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে এবং এর প্রেক্ষিতে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা রিপোর্ট আকারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানাতে বলা হয়েছে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়