রাশিদ রিয়াজ : ইরানের একটি জনসমাবেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতিকে ‘বেআইনি, অপেশাদার ও সন্দেহজনক’ বলে বর্ণনা করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, “একটি অভ্যন্তরীণ জনসমাবেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের উপস্থিতি ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সুস্পষ্ট হস্তক্ষেপ এবং কূটনৈতিক রীতিনীতির পরিপন্থি। তার এ পদক্ষেপ আমেরিকার সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের ব্যর্থ নীতির প্রতি ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার অনুমান শক্তিশালী করে।”
তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রব ম্যাকায়ারকে শনিবার রাতে তেহরানের আমির কাবির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি জনসমাবেশ থেকে আটক এবং পরে ছেড়ে দেয়া হয়। তেহরানের অদূরে বিধ্বস্ত ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানের নিহত আরোহীদের সম্মানে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে একদল দুস্কৃতকারী ওই সমাবেশ থেকে সরকার বিরোধী স্লোগান দেয়। ইরানের পুলিশ বলেছে, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত দুস্কৃতকারীদের উসকানি দিতে সেখানে গিয়েছিলেন এবং তিনি সেখানকার ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটা স্পষ্ট যে, ব্রিটিশ সরকার একটি ভয়ঙ্কর ভুল হিসাব-নিকাশের ভিত্তিতে এখনো ইরান-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইরানের সঙ্গে নিজের সম্পর্কেও টানাপোড়েন বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। ” বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “ব্রিটিশ সরকারের জেনে রাখা উচিত ইরানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে তার পক্ষে আমেরিকার পদলেহী নীতি ঢেকে রাখা সম্ভব হবে না। এ ছাড়া, ব্রিটিশ সরকার যে আমেকিরার ভয়ে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন থেকে বিরত রয়েছে এবং ইরানের পাওনা কোটি কোটি পাউন্ড পরিশোধের ব্যাপারে নিজ আদালতের রায় পর্যন্ত কার্যকর করতে পারছে না সেকথাও কারো অজানা নয়।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ব্রিটিশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ও উসকানিমূলক পদক্ষেপের পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়েছে, এরপর একই আচরণ করলে এই মন্ত্রণালয় শুধুমাত্র ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেই ক্ষান্ত হবে না বরং এর চেয়েও কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে। পার্সটুডে
আপনার মতামত লিখুন :