রাশিদ রিয়াজ : পুলিশ অফিসার দাবিন্দর সিং জঙ্গিদের নিয়ে কাশ্মীরের বাইরে যাওয়ার সময় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে ধরা পড়েন। হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গিদের সঙ্গে ধৃত ডেপুটি সুপারিটেন্ড সম্পর্কে এমনই তথ্য জানা গিয়েছে সূত্র মারফৎ। তাঁকে গ্রেফতারের পরেই, পুলিশ অফিসারের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা গিয়েছে। দুটি পিস্তল এবং একটি একে ৪৭ রাইফেলও পাওয়া গিয়েছে ওই পুলিশ অফিসারের বাড়িতে।
শুক্রবার জঙ্গিদের দক্ষিণ কাশ্মীরের সোফিয়ান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ওই পুলিশ অফিসার এবং সেখানে রাতে থাকে জঙ্গিরা। সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর হেডকোর্য়াটারের ঠিক পাশেই ওই পুলিশ অফিসারের বাড়িতে রাত্রিবাস করে হিজবুল মুজাহিদিনের অন্যতম শীর্ষ নেতা নভেদ বাবু, ও তার দুই সঙ্গী ইরফান এবং রফি। শনিবার সকালে তারা জম্মু রওনা হয়, সেখান থেকে তারা দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাধিকবার নভেদ বাবুকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন পুলিশ পদক পাওয়া পুলিশ অফিসার দাবিন্দর সিং।গত বছরে তাঁকে জম্মু নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে জেরা করছে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ তদন্তকারী দল। দু সপ্তাহ পড়েই যেখানে প্রজাতন্ত্র দিবস, সেই উপলক্ষ্যেই দাবিন্দর সিং এর সফর কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
পুলিশ জানিয়েছে, দাবিন্দর সিং এর চলাফেরার ওপর নজর রাখছিল তারা, এবং শুক্রবার সকাল থেকে নভেদ বাবুর ওপর। অভিযোগ, শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন তিনি জঙ্গিদের নিজের বাড়িতে নিয়ে যান, সেই সময় গোপনে তাঁর ওপর নজর রাখছিল সাধারণ পোশাকের পুলিশ।
একদিন আগে, ১৫ জন বিদেশি প্রতিনিধি দলকে রিসিভ করতে তাঁকে শ্রীনগর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়। দুদিনের জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছিলেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কেউই ভাবতে পারেনি, জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
সূত্রের খবর, শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ তিন জঙ্গিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন দাবিন্দর সিং। শ্রীনগর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে, গাড়িটি আটকায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, নভেদ বাবুর গ্রেফতারি বড় সাফল্য, তার মাথার দাম ছিল ২০ লাখ টাকা। সূত্রের খবর, গত কয়েকবছরে পাঁচবার পাকিস্তান গিয়েছে ইরফান, তার কার্যকলাপ নিয়ে ধাঁধায় ছিল নিরাপত্তাসংস্থাগুলি।
আপনার মতামত লিখুন :