মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের চরউলাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (৮) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সোমবার স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা ও ৫০টি জুতাপেটা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববর্তী ঘেলেপাড়া গ্রামের ষাটোর্ধ আছর উদ্দিন বরই দেয়ার কথা বলে জনৈক হক সাবের ভূট্টা ক্ষেতে নিয়ে শিশুটিকে মুখ চেপে ধর্ষণ করে। ভিকটিম রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে এ ঘটনা প্রকাশ পায়।
ওইদিন রাতে ধল্লা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি মেম্বার ছোরহাব উদ্দিন মেয়ের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়ে মিমংসার চেষ্টা করে। এতে শিশুটির পরিবার রাজি না হলে সোমবার বিকেলে ছোরহাব মেম্বারের নেতৃত্বে তার বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। সালিশে ভিকটিমের চিকিৎসা খরচ বাবদ ৩০ হাজার টাকা ও ধর্ষককে ৫০টি জুতার বাড়ি দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়।
স্থানীয় লোকজন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় ধর্ষক আছর উদ্দিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ধল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, ধর্ষণের ঘটনা স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কোনো সুযোগ নেই।
এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, ঘটনাটি আমার নলেজে নেই। এখনই পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। সম্পাদনা:জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :