জাহিদুল কবীর : রোববার সকালে বিড়ালটি উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে নাজমা আহমেদ নামে এক নারীর হাসপাতালে রোগী দেখতে যান। সেখান থেকে তার পোষা বিড়ালটি হারিয়ে যায়। রোববার সকালে দেখতে পান হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিপরীত ভবনের তিনতলায় একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিনের বাইরে আটকে আছে। এরপর খবর দেন ফায়ার সার্ভিসে। পোষা বিড়ালটি হাতে পেয়ে আনন্দিত নাজমা আহমেদ।
যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার গোলাম কিবরিয়া বলেন, মানুষের কল্যাণ আর সেবাই আমাদের কাজ। আমরা বিড়ালটিকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি এটিই আনন্দের বিষয়।
যশোর শহরের পূর্ববারান্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজমা আহমেদ ও জাকির হোসেন দম্পতি। তারা জানান, শনিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে যান চিকিৎসাধীন এক আত্মীয়ের খোঁজ নিতে যান। তাদের সঙ্গেই ছিল পোষা বিড়ালটি। তারা যখন হাসপাতালের তৃতীয়তলায় সেই আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ঠিক সেই মুহূর্তে বিড়ালটি লাফ দিয়ে নিচে নেমে যায়। তখন তারা ঘটনাটি টের পাননি। বাড়ি ফেরার সময় দেখেন বিড়ালটি পাশে নেই। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় খুঁজে না পেয়ে মনোকষ্টে বাড়ি ফেরেন। এরপর রোববার সকালে বিড়ালটি খুঁজতে বের হন। তারা দেখতে পান বিড়ালটি হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের বিপরীত ভবনের তিনতলায় একটি এয়ার কন্ডিশন মেশিনের বাইরে আটকে রয়েছে। এরপর যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলেন। সব শুনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা হাসপাতাল চত্বরে পৌঁছে যান। তারা মই লাগিয়ে নামিয়ে এনে নাজমা বেগমের হাতে বিড়ালটি তুলে দেন।
নাজমা আহমেদ জানান, বছর দুই আগে শহরের হাইকোর্ট মোড়ে যাওয়ার পথে নর্দমার মধ্যে একটি বিড়ালছানা পড়ে থাকতে দেখেন। সেখান থেকে তুলে আনেন বিড়াল ছানাটি। তারপর থেকে বিড়ালছানাটি তাদের সঙ্গেই থাকে। পরিবারেরই একজন হয়ে রয়েছে। বিড়ালটি সন্তানের মতো। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
আপনার মতামত লিখুন :