ইয়াসিন আরাফাত : নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উত্তাল ভারত। দেশটির রাজধানী দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ওই আইনের বিরুদ্ধা বিক্ষোভ করছে হাজার হাজার মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে এ বার সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার বানিয়ে মাঠে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সাধারণ মানুষকে এই আইনকে সমর্থনের আবেদন জানালেন টুইটারে। যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, সিএএ-এনআরসি ইস্যুতে সহজে যে ড্যামেজ কন্ট্রোল সম্ভব নয়। আনন্দবাজার
সোমবার একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তিনি ‘#ইন্ডিয়াসাপোর্টসিএএ’ দিয়ে সমর্থনের আবেদন জানিয়ে লিখেন, ‘এই আইনকে সমর্থন করুন, কারণ এটা অত্যাচারিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ার আইন, কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার জন্য নয়।’ একই সঙ্গে নমো অ্যাপে গিয়ে সিএএ সংক্রান্ত ভিডিও, খবর ও অন্যান্য সব কিছু কি ভাবে জানা যাবে, তাও জানান তিনি।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও পার্সি শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, এ ভাবে ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়া সংবিধানের সমানাধিকারের বিরোধী। তা ছাড়া আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই মুসলিম স¤প্রদায়ের সিংহভাগ এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ। নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছেন তারা।
বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে নতুন এই নাগরিকত্ব আইন কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার জন্য নয়। বরং বিশাল সংখ্যার শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন। বিজেপির অভিযোগ, কংগ্রেস-সহ কিছু বিরোধী দলের ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য প্রচার করার জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি নিভে যায়নি। বরং বহু মানুষের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ ও বিভ্রান্তি রয়েছে। সেই সব কাটাতেই সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :