তন্নীমা আক্তার : শিক্ষার্থীদের চাপমুক্ত রেখে নতুন পদ্ধতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ইবতেদায়ি মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিশুদের সমাপনী পরীক্ষার চিন্তা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন। পরীক্ষার ফলে জিপিএ গ্রেড ৫ না রেখে সর্বোচ্চ গ্রেড ৪ করার উদ্যোগও নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে গতকাল সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর সমাপনীর পরীক্ষা ফল নিয়ে ব্যস্ততা যাচ্ছে। এরপর আছে ২০২০ সালের নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের কাজ। এগুলো শেষ করেই প্রাইমারির সমাপনী পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু হবে। মাধ্যমিক স্তরে জিপিএ গ্রেড সংস্কার করা হচ্ছে। এর সঙ্গে সমন্বয় করতে প্রাথমিক স্তরেও জিপিএর সর্বোচ্চ গ্রেড ৪ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের কথা বলেননি। পরীক্ষার নামে মানসিক চাপে না ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। বইয়ের বোঝা হালকা করারও মত দিয়েছেন তিনি। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ শুরু করছি। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিক মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি ২০২১ সাল থেকে কার্যকর হবে। আমরা চেয়েছিলাম, আগামী বছর থেকে বাস্তবায়নে যেতে। কিন্তু ২০২১ সালে নতুন কারিকুলাম হবে। সেজন্য নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গে এ পদ্ধতিতে যাবো আমরা। তবে পাইলটিং হিসেবে ১০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হবে ২০২০ সালে। এর ত্রুটিবিচ্যুতির অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২১ সালে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :