শাহনাজ বেগম : ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৫০ জন লোক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। এতে প্রতিদিন একজন হত্যাকাণ্ডের শিকার বলে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (এএসকে) জরিপ তথ্যে জানা যায়। এতে দেখা যায়, ক্রসফায়ার, নির্যাতন, গুলিবিদ্ধ, অসুস্থতা এবং আত্মহত্যারর মত ঘটনায় তারা নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অধীনে এ ঘটনা ঘটে। ঢাকা ট্রিবিউন
এ বছর বিচারবহির্ভূত হত্যার সর্বাধিক আলোচিত হত্যাকাণ্ড বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার মূল আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। ২ জুলাই বরগুনায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নয়ন নিহত হয়েছেন। নয়ন ও তার সহযোগীরা পুলিশের মুখোমুখি হওয়ার পর গুলি চালায়। এরপর পুলিশও আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই নয়ন মারা যায় বলে বরগুনার তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন জানিয়েছিলেন। তবে বার্ষিক হিসেবে নিহতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কম। কারণ ২০১৮ সালে বিচারবহির্ভূত ৪৬৬ টি হত্যার ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ১৬২ জন, ২০১৬ সালে ১৯৫ জন এবং ২০১৫ সালে ১৯২ জন নিহত হয়েছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মো. নূর খান বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হত্যার ঘটনা কমে গেলেও নির্যাতনে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। এ পর্যায়ে কিছু পদ্ধতিগত পরিবর্তন রয়েছে। যেমন জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সংখ্যা বেড়ে যায় তখন নির্যাতনে মৃত্যু সংখ্যা হ্রাস পায়। গত ১০ থেকে ১২ বছর ধরে আমার পর্যবেক্ষণ থেকে মনে হয়, এই হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্র কখনও জড়িত থাকলে সেটা সর্বদা পূর্ব পরিকল্পনামাফিক হয়। আইন শৃঙ্খলা সামঞ্জস্য করা বা সমাজে আতঙ্ক ছড়াতে বা রাজনৈতিক বিরোধীতা বা বিক্ষোভ দমন করতে এটি একটি শর্টকাট পদ্ধতি।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন হ্রাস পাচ্ছে না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, যখন অপরাধমূলক কার্যকলাপ কম হবে তখন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও হ্রাস পাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সক্রিয়ভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালায় না দাবি করে কামাল বলেন, তারা কেবল আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। সম্পাদনা : রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :