শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশে আলু-পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলো ভারত সরকার ◈ ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ, এবার হেরে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ◈ বাংলাদেশ- আয়ারল্যান্ডের প্রথম ওয়ানডে বুধবার, আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্মোচিত হলো ট্রফি ◈ অনেকেই মনে করছেন ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দূরত্বের কারণে আইপিএল নিলামে উপেক্ষিত বাংলাদেশিরা ◈ আলিফকে দলীয় কর্মী দাবি করে জামায়াত আমিরের নিন্দা, সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান ◈ দেশের বাজারে আবারও ভরিতে সোনার দাম কমল ২৮২৩ টাকা ◈ যে কোন মূল্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখব : তারেক রহমান ◈ বিএনপির মতবিনিময় সভায় ছাত্রলীগকে গণধোলাই দিতে বলা সেই ওসিকে বদলি ◈ ষড়যন্ত্রকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়, বেশি ছাড় পেলে মাথায় উঠে নাচবে : সারজিস আলম

প্রকাশিত : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০২:০৪ রাত
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৯, ০২:০৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্যে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন জানালেন পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান

রাশিদ রিয়াজ : পাকিস্তানের পারমানবিক বোমার জনক বলা হয় তাকে। কিন্তু গত ১৫ বছর ধরে তাকে কঠোর নিরাপত্তার বেষ্টনীতে থাকতে হচ্ছে। প্রিয়জন, বন্ধু-বান্ধব কিংবা স্বজনের সঙ্গে চাইলেই তিনি দেখা করতে পারেন না। তারাও কাদির খানের কাছে হুট করে চলে আসতে পারেন না। একাকী অনেকটা বন্দী এই জীবনে হাঁপিয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের এই পরমাণু বিজ্ঞানী। ২০০৪ সালে ইরান, লিবিয়া ও উত্তর কোরিয়ার কাছে পারমানবিক বোমা বানানোর কৌশল জানিয়েছেন একথা তিনি স্বীকার করার পর তাকে এমন গৃহবন্দী অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। জেনারেল পারভেজ মোশাররফের শাসনামলেই তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। আরটি

বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খানের বয়স এখন ৮৩ বছর। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনে তিনি বলেছেন এধরনের অবরুদ্ধ জীবন মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী। তাকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা শিথির করা হোক। গৃহবন্দীর আদেশ সরকারিভাবে ২০০৯ সালে তুলে নেয়া হলেও আব্দুল কাদের খান এখনো নিরাপত্তা কর্মীর বেষ্টনী ছাড়া কোথাও চলাচলের সুযোগ পান না। গত সোমবার আদালতে দেয়া আবেদনে তাই তিনি প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কোনো সরকার বা কর্তৃপক্ষ কখনো কি কারো সাংবিধানিক সুরক্ষা ভঙ্গ করে তাকে তার স্বজন, ভৃত্য, পরিবারের সদস্য, বন্ধু, সাংবাদিক, সহকর্মী, কর্মকর্তা, আমলা বা অন্য কারো সঙ্গে সাক্ষাতে বিধি নিষেধ আরোপ করতে পারে? তিনি এও জানান, নিরাপত্তা কর্মীদের আমাকে আমার বাড়িতে নির্জন কারাবাসের বন্দোবস্ত করা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই।

১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের পারমানবিক বোমা বিস্ফোরণ পরীক্ষার পেছনে এই বিজ্ঞানী ছিলেন অন্যতম পথিকৃথ। ২০০১ সালে এই বিজ্ঞানী অবসর নেন। কিন্তু পারমানবিক বোমা তৈরির কৌশল হস্তান্তর করার মধ্যে দিয়ে এই বিজ্ঞানী মহানায়ক থেকে পরিণত হন খলনায়কে। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনে আব্দুল কাদের খান আর্জি জানান, শত্রুর মোকাবেলায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবদান রাখতে পেরে তিনি গর্বিত। এখন তিনি বার্ধক্য উপনীত হওয়ায় শারীরিক কারণেই তার ওপর থেকে এমন কঠোর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেয়া জরুরি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়