নিউজ ডেস্ক: এক কাপ চা সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে। ঠাণ্ডা-কাশি, বুকে জমে থাকা কফ বের করে আদা চা অনেক উপকারি। আড্ডা দিতে, ক্লান্তি দূর করতে, কাজের ফাঁকে, ১-২ কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়। কেউ চা খেতে বেশি পছন্দ করে, আবার কেউ কফি। গুড়ের চা শরীরের জন্য খুব উপকারি। তবে এর কিছু উপকারিতা, অপকারিতা আছে। সূত্র: নয়া দিগন্তু
গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরে প্রয়োজন। লিকার চায়ের কিছু উপকারিতা,পুষ্টি ও ঝুঁকি আছে।
লিকার চা-এর পুষ্টি গুণাগুণ: জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট অনুসারে, চা-এর মধ্যে রয়েছে- ক্যাফেইন, অ্যামিনো অ্যাসিড, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্লোরোফিল, ফ্লোরাইড, অ্যালুমিনিয়াম, মিনারেলস ইত্যাদি।
ব্ল্যাক টি বা লিকার চা-তে পলিফেনল, রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা উদ্ভিদকে অতিবেগুনী রশ্মি বা ক্ষতিকারক, রোগজীবাণু থেকে রক্ষা করে। ফ্ল্যাভোনয়েডস এক ধরণের পলিফেনল। এই পলিফেনলগুলিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রভাব থাকে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টগুলি ফ্রি র্যাডিকাল কোষগুলোর ক্রিয়াকলাপকে প্রতিহত করতে পারে। ফ্রি র্যাডিক্যালস স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।
লিকার চা পানের উপকারিতা :
১. লিকার চা হার্টের রক্ত সরবরাহ বাড়ায়, হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে।
২. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে, মস্তিষ্ককে সচল রাখে ৷
৫. শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি দূর করে। রক্ত চলাচল ভালো হয় ৷
৬. প্রতিদিন চা পান করলে ইউ ভি রেডিয়েশন-এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বকের কোষগুলি রক্ষা পায়। ফলে স্কিন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৭. ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে লিকার চা উপকারী কারণ এটি কোষ থেকে সাধারণের তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেশি ইনসুলিন নিঃসৃত করে এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
৮. কিডনি রোগের জন্য উপকারী।
৯.রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।
লিকার চা পানের অপকারিতা: অতিরিক্ত চা পান করলে শারীরিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে। খাবারের আগে বা খাওয়ার পর পরে চা পান করা ঠিক না। এতে বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে।
১. চা শরীর থেকে ভিটামিন বি শোষণ রোধ করে যা বেরিবেরি রোগের অন্যতম কারণ।
২. হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করে, খিদের অনুভূতি নষ্ট করে।
৩. অতিরিক্ত চা পান ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়
৪. বেশি চা পান করলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
৫. চা খাবার থেকে আয়রন শোষণ করে, অ্যানিমিয়া হতে পারে।
৬. গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত চা, কফি পান করা উচিত নয়।
৭. খালি পেটে চা পান করলে অ্যাসিডিটি হতে পারে।
অনুলিখনে : জেবা আফরোজ
আপনার মতামত লিখুন :