তন্নীমা আক্তার : গত ৪ মাস ভোগান্তির বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ এর দাম। বাজারে এখন জায়গা করে নিচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। তবে এসব দেশি পেঁয়াজ পুরোপুরি বাজারে আসতে আরো ১ থেকে ২ সপ্তাহ সময় লাগবে। তখন পিয়াজের দাম আরো কমে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ও টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কাওরানবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে আমদানি করা পিয়াজের দাম। তবে দেশি নতুন পেঁয়াজ তুলনামূলক কম দামে পাওয়া গেলেও পুরান পেঁয়াজ আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের নতুন পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশি পুরাতন পেঁয়াজ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের পাশাপাশি বাজারে এখন প্রচুর চীনা, মিশর, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে আমদানি করা পিয়াজের দাম ক্রমেই কমের দিকে যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি কমেছে চীনা পিয়াজের দাম। তবে পাইকারি দাম কমলেও কমছেনা খুচরা বাজারে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে খুচরা বাজারিরা বলছেন এক এক পেঁয়াজ এর দাম এক এক রকম। পাইকারিতে তারাও বেশি দামে কিনে আনছেন।
এদিকে পিয়াজের দাম কমতে শুরু করায় টিসিবির ট্রাকসেলের ৪৫ টাকার পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ও কমে গেছে। সাধারণ ভোক্তারা লাইন ছাড়াই চাহিদা মতো সহজেই পেঁয়াজ কিনতে পারছেন ট্রাক থেকে। খামারবাড়ি মোড়ে টিসিবির ট্রাকসেলে পেঁয়াজ বিক্রি করছিলেন আমিনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক আগেও টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘলাইন ধরতে হতো। এখন আর লাইনের দরকার হয় না। একজন দুজন করে পথচারীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ভিড় না থাকা ও খুচরা বাজারের চেয়ে কিছুটা দাম কম হওয়ায় ট্রাক থেকে মধ্যবিত্তরাও পেঁয়াজ কিনছেন। সম্পাদনা : তৌহিদ এলাহি
আপনার মতামত লিখুন :