ইয়াসিন আরাফাত : রোববার দিল্লিতে নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভের সময় গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সফদরজং হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারিটেনডেন্ট। আহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। যদিও বিক্ষোভ ঠেকাতে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে দিনভর আটক করা ৬০ জনের মধ্যে ভোরবেলা ছেড়ে দেয়া হয়েছে ৫০জনকে। এনডিটিভি
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রোববার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে জামিয়ার শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। পরে, জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে এবং ভোর ৩ টা পর্যন্ত প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
দিল্লি পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএস রান্ধাওয়া সোমবার বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, গুলি চালানো হয়নি। তিনি আরও জানান, রোববারের জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার তদন্ত করবে অপরাধ দমন শাখা। বিস্তারিত তদন্ত এবং দোষীকে খুঁজে বের করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পুলিশ অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকে এবং সেখানকার কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের হেনস্থা করে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের অনেককেই লাইব্রেরি থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে শৌচাগারে অচৈতন্য অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবী জানিয়েছে কংগ্রেসসহ বেশ কয়েকটি বিরোধীদলের নেতারা। তাদের অভিযোগ, বিজেপির কথায় চলছে দিল্লি পুলিশ। এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্তের দাবীতে মঙ্গলবার বিকেলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে যাবেন বলেও জানিয়েছে তারা।
এদিকে এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে স্থানীয় বাম দলগুলো। সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :