বিল্লাল হোসেন, কুবি প্রতিনিধি : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে নেই পর্যাপ্ত গাড়ির চালক ও সহকারি। দৈনিক চুক্তিতে কাজ করছেন অস্থায়ী চালক ও সহকারিগণ। স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়ার আশায় কাজ করছেন তারা। কিন্তু এক বছরের অধিক সময় ধরে নামে মাত্র বেতনে থাকায় পরিবার নিয়ে সংকটে আছেন চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত চালক ও সহকারিরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে ইউজিসি থেকে স্থায়ী পদ না দেওয়ায় তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে চুক্তিভিত্তিক কাজ করছেন ৪ জন চালক ও ২ জন সহকারি। স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকায় নামমাত্র টাকায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে রয়েছেন তারা। প্রথমে ৪০০ টাকা করে প্রতিদিন দেওয়া হলেও বর্তমানে ৪৫০ টাকা করে দেওয়া হয় চালকদের। আর সহকারিদের দেওয়া হয় ৪০০ টাকা করে। এক বছরের অধিক সময় পরও স্থায়ী নিয়োগ না দেওয়ায় পরিবার নিয়ে চলতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।
চুক্তিভিত্তিক কাজ করা চালক ও সহকারিদের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রশাসন আমাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়ার কথা বললেও তা দিচ্ছে না। এত অল্প টাকার পরিবার নিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়। 'আমার ছেলে-মেয়েদের মাসিক পড়ার খরচ চালাতে কষ্ট হচ্ছে। মাস শেষে দশ হাজার টাকায় কিছুই হয় না, সপ্তাহে একদিন ছুটি পেলে বা রাতে বিশ্রাম না নিয়ে বাহিরের গাড়ি চালাই'।
পরিবহন পুলের তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহন পুলের অধীনে শিক্ষার্থী পরিবহনসহ মোট ১৯ টি গাড়ি রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪ জন গাড়ি চালক ও ৮ জন সহকারী রয়েছে। ১৪ জন চালক দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো গাড়ি চালানো সম্ভব না হওয়ায় দৈনিক চুক্তিভিত্তিক চালক ও সহকারী নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল। এছাড়া চালক সংকটের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি চালাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সহকারিকে দিয়ে। ফলে বিভিন্ন সময় অসুস্থ শিক্ষার্থীদের হসপিটালে নিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুলে ১৯ টি গাড়ি থাকলেও শিক্ষার্থীদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত একটি নীল বাস ও ট্রেজারারের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়িটি নষ্ট হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবিহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদুল আলম বলেন, নীল বাসটি মেরামতের জন্য পাঠানো হয়নি তবে শীঘ্রই পাঠানো হবে বলে আশা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, পদ খালি না থাকায় চুক্তিভিত্তিক চালক ও সহকারি নিয়োগ করা হয়েছে। অল্প টাকা পাওয়ায় খুব সমস্যায় আছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে নতুন পদের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। ইউজিসি থেকে নতুন পদ পেলেই চালক ও সহকারী নিয়োগ দেওয়া হবে। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক
আপনার মতামত লিখুন :