কাবেরী গায়েন : হায় হায়! এই সেদিনও আমাকে গ্রিল করা হলো যে আমি ভালো চেয়ার নই, কারণ সান্ধ্যকোর্স চালু করছি না। আমি রক্ষা পেতে চেয়ে বললাম, একেকজন চেয়ারের কাজের ধরন তো ভিন্ন ভিন্ন হয়, আমি আর কয়দিন। এরপর যিনি আসবেন, তিনি করবেন নিশ্চয়ই। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। জ্ঞানীজনেরা বোঝাতে চাইলেন, কেন সেটা করা জরুরি। আর আজ এই ঘোষণা। অনেক কৃতজ্ঞতা মহামান্য আচার্যকে। গত বছরের সমাবর্তনেও মাননীয় আচার্য তুলেছিলেন এই প্রসঙ্গ, শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি প্রসঙ্গ। কিন্তু শেষে একটা জোক বলতে গিয়ে এমন ট্রলিংয়ের মুখোমুখি হলেন যে তার চমৎকার কথাগুলো সবাই বেমালুম ভুলে গেলেন। আমি এমনকি আমার দুয়েকজন সমমনাদের কাছে তার বক্তব্যের ভালো অংশটুকু সম্পর্কে বলতে গিয়ে ঝাড়িও খেলাম। আমার কেমন যেন মনে হয় গত বছরের ট্রলিংটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিলো, যেন সারবান কথাগুলো না পৌঁছে সবার কাছে। এবার তিনি এতো জোরে, এতো সুনির্দিষ্টভাবে বলেছেন যে, না শুনে উপায় ছিলো না কারও।
এমন আচার্য থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় ভেসে যাওয়ার কথা নয়। এখন অপেক্ষা। সম্প্রতি এক সাংবাদিক আমার একটা মন্তব্য নিতে চাইলে ফোনেই মন্তব্য দিয়েছি, যা ইদানীং খুব এড়িয়ে চলি। সেই সাংবাদিকের কাছেই শুনলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য বলেছেন, এই বিষয়ে কাজ না কি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সব ভালো তার, যার শেষটা হয় ভালো। একটু খচ খচ করছে বটে। ইউজিসি অর্ডার না দিয়ে এমনকি আচার্য হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি দিলেও চলতো। সবচেয়ে ভালো হতো, যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরাই এমন সিদ্ধান্তে আসতে পারতো। কিন্তু সেটা যে সম্ভব হতো না কখনো, তা বুঝি রাস্তায় আর ক্লাবে দুই বিশ্ববিদ্যালয় কলিগের অভিযোগী মুখ দেখে আর বাক্য শুনে। ভয়ে আছি, শিক্ষকেরা এর বিরুদ্ধে না আবার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। তখন অবশ্য অনেক শিক্ষককে একজোট হয়ে স্বার্থরক্ষায় ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে দেখা যেতে পারে। সেই নিয়ে ভয় একটু থেকেই গেলো। ফেসবুক থেকে