শিরোনাম
◈ রাজনীতিতে জাইমা রহমানের প্রবেশ নিয়ে কৌতূহল বাড়ছে! ◈ ‘জাতির পিতা’ বিধান বিলুপ্তির সুপারিশ: সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের ◈ বেনজীরের বিতর্কিত বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ (ভিডিও) ◈ হঠাৎ ট্রাম্পকে যে কারণে ‘টোপ’ দিলেন জেলেনস্কি ◈ ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু, মোজাম্মেল হকের বাড়িতে র‌্যাব ◈ আপিল ট্রাইব্যুনালে জয়ী পুলিশ সদস্যদের চাকুরীতে পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা পড়লেন বৈষম্যবিরোধীর নেতাকর্মীরা ◈ সেদিন গাজীপুরে কি ঘটেছিল? আহতদের মুখে ঘটনার বর্ণনা ◈ টিউলিপের নামে গাজীপুরে বাংলো, যা বলছে লেবার পার্টি

প্রকাশিত : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৯ দুপুর
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হংকংয়ে বিতর্কিত বিল প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি

মৌরী সিদ্দিকা : হংকংয়ে বিক্ষোভের ছয় মাস পূর্তিতে রোববার প্রথমবারের মতো বিক্ষোভের আয়োজন করে নাগরিক অধিকার মঞ্চ। শহরের কেন্দ্রে জড়ো হয় লাখ লাখ গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভকারী। গত জুলাই থেকে শুরু হওয়ার পর পুলিশের অনুমতি পাওয়া এটাই প্রথম বিক্ষোভ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে অফিস আদালতও বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিলো। প্রায় ৮ লাখ বিক্ষোভকারী অংশ নিয়েছেন বলে জানান আয়োজকরা। বিবিসি

পুলিশ জানিয়েছে, এই সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার। ‘স্বাধীনতার জন্য লড়াই’, ‘হংকংয়ের পাশে থাকুন’ স্লোগানে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে হংকংয়ের কেন্দ্রস্থলের একটি সড়কের দিকে পদযাত্রা করেছে যুব, বৃদ্ধসহ সব ধরনের মানুষ। অনেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মুখোশ পরে বিক্ষোভে অংশ নেন।

বিক্ষোভকারীরা শহরের চীনপন্থী নেতাকে হুশিয়ারি দিয়েছে, তাদের দাবি পূরণের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের অবসানের এটাই সরকারের শেষ সুযোগ। বিক্ষোভ দমনে দাঙ্গা পুলিশের ভূমিকার স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত, আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও অবাধ নির্বাচনের আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবির ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার আহ্বানও জানান তারা।

বিক্ষোভের আয়োজক দলটির সমাবেশ করার অনুরোধ কর্তৃপক্ষ কখনও কানে তোলেনি। হংকংয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থীদের জয়ের পর সমাবেশ করার এ সবুজসংকেত পায় হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী বৃহত্তম দল সিভিল হিউম্যান রাইটস ফ্রন্ট। ২৪ নভেম্বরে স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনে প্রায় ৯০ শতাংশ আসন জিতে নেয় গণতন্ত্রপন্থীরা। এর মাধ্যমে বিক্ষোভে বেশিরভাগ মানুষের সমর্থন নেই- সরকারের এ দাবি মাঠে মারা যায়। সমাবেশের অনুমতি দিয়ে আরেকবার বিক্ষোভকারীদের প্রতি হংকংবাসীর সমর্থন যাচাই করতে চেয়েছিলো অঞ্চলটির চীনপন্থী সরকার। সমাবেশে হংকংয়ের নাগরিকদের বিপুল অংশগ্রহণ সরকারের সেই চেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়ে।

হংকং পুলিশ বলেছে, পদযাত্রা শুরুর আগে ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র। পুলিশের দাবি, মিছিলে যোগ দিয়ে কেউ যাতে অশান্তি না ছড়াতে পারে সেজন্যই চালানো হয়েছে বিশেষ তল্লাশি অভিযান।

সমাবেশের আয়োজকরা বলছেন, তাদের দাবি পূরণের জন্য এটাই সরকারের শেষ সুযোগ। এসব দাবিদাওয়ার মধ্যে আছে, হংকংয়ের বিক্ষোভে পুলিশের শক্তি ব্যবহারের বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত, গ্রেফতারকৃতদের ক্ষমা এবং অবাধ নির্বাচন। বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিয়ে মূলত প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ও বেইজিংয়ের শাসনের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

চীনের অংশ হয়েও স্বায়ত্তশাসন এবং বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা পায় হংকং। বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রত্যর্পণ বিলের মাধ্যমে হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসন নষ্ট করে বেইজিংয়ের একাধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন বেইজিংপন্থি নেত্রী ক্যারি ল্যাম। বিতর্কিত বিল প্রত্যাহারের পরও বিক্ষোভ থামেনি।
সম্পাদনা : ইয়াসিন আরাফাত

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়