রাশিদ রিয়াজ : ভারতে আর্থিক মন্দার জেরে দেশে ক্রমেই বাড়ছে বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা! এর ফলে যেকোনও ধরনের সরকারি চাকরির জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন সবাই। পরিবারকে সুরক্ষা দিতে ও সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে হাঁটতেই লাখ টাকার বেসরকারি চাকরির বদলে ৩০-৪০ হাজারের সরকারি চাকরির দিকেই ঝুঁকছেন তাঁরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে পড়েছে যে পরিচ্ছন্ন কর্মীর পদে চাকরির করার জন্য আবেদন জমা করছেন স্নাতক থেকে ইঞ্জিনিয়ারও। সম্প্রতি এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে। সেখানকার পৌরনিগমের পক্ষ থেকে ৫৪৯টি গ্রেড-১ সাফাই কর্মী পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। আবেদনপত্র সংগ্রহের পর দেখা যায় সাফাই কর্মী হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন সাত হাজার ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমাধারী ও অনেক স্নাতক।
কোয়েম্বাটোর পৌরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, আবেদনপত্রগুলি খতিয়ে দেখে মোট ৭০০০ জনকে নির্বাচন করা হয়েছিল। গত বুধবার থেকে তাঁদের ইন্টারভিউও শুরু হয়েছে। তবে আবেদনকারীদের পরিচয় দেখে চমকে গিয়েছেন পরীক্ষকরা। কারণ দেখা গিয়েছে আবেদনকারীদের মধ্যে ৭০ শতাংশ প্রার্থীই এসএসএলসি পরীক্ষায় পাশ করেছেন। আর তার মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার, স্নাতকোত্তর, স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারী।
কিছু ক্ষেত্রে এমন প্রার্থীর আবেদনপত্রও পাওয়া গিয়েছে যাঁরা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করা সত্ত্বেও সাফাই কর্মীর পদের জন্য চেষ্টা করছেন। আসলে এই পদ যোগ দিলে শুরুতে মাইনে পাওয়া যাবে ১৫,৭০০ টাকা। যা আকর্ষণ করেছে চাকরি প্রার্থীদের। এমনকী গত ১০ বছর ধরে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করা শ্রমিকরা এই পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন। শুধু স্থায়ী চাকরির আশাতেই একের পর এক আবেদন জমা পড়েছে। নিয়োগের দায়িত্বে থাকা পৌরনিগমের আধিকারিকরা জানান, স্নাতক হওয়ার পরেও একটা বড় অংশের যুবক-যুবতী কোনও চাকরি পাননি। যার জেরে বাধ্য হয়েই পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসাবে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। সংবাদ প্রতিদিন
আপনার মতামত লিখুন :