শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৯ দুপুর
আপডেট : ৩০ নভেম্বর, ২০১৯, ১১:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অতিরিক্ত চার্জের ফলে কার্গো পরিবহনে আয় কমেছে বাংলাদেশ বিমানের

সময়টিভি : এজন্য বিমানের বাড়তি ভাড়া ও শাহজালাল বিমানবন্দরের স্ক্যানিং ও গ্রাউড হ্যান্ডলিংয়ের অতিরিক্ত চার্জকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বাংলাদেশ বিমান দায়ী করেছে প্রতিবেশী দেশের অতিরিক্ত কম মূল্যে পণ্য পরিবহনকে।
জানা যায়, পণ্যের দাম নির্ধারণে পরিবহন খরচ গুরুত্বপূর্ণ। তাই যেখানে পরিবহন খরচ কম সেখানেই ছুটে যান ক্রেতারা। আগে দেশের যেসব রপ্তানি কার্গো পরিবহন হতো শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে, সম্প্রতি সেগুলো যাচ্ছে বেনাপোল হয়ে কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে। আবার কিছু পণ্য যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে কলম্বো বিমানবন্দর দিয়ে। ফলে জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ৪ মাসে গেলো বছরের একই সময়ের চেয়ে বিমানের কার্গো পরিবহন ৩ হাজার ২৩৬ টন কমেছে। আর তাই এর প্রভাব পড়ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে। ফলে আয় কমেছে ৭৩ কোটি টাকা। এজন্য প্রতিবেশী দেশের অসম বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতাকে দায়ী করছে বাংলাদেশ বিমান।

এ প্রসঙ্গে বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোকাব্বির হোসেন বলেন, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারদের দাবি, শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের খরচ তুলনামূলক বেশি এবং রয়েছে অবকাঠামো সমস্যা।
এ ব্যাপারে এমজিএইচ গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাস দেব বলেন, প্রথমত স্কেনিং চার্জ, দ্বিতীয়ত হ্যান্ডলিং চার্জ। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে খরচ হয় ১৮ থেকে ২০ সেন্ট। কলকাতা বা কলম্বোতে তা ১২ সেন্টে হয়ে যায়। তবে বিমান সচিবের দাবি, উন্নত মানের সেবা দিতে গিয়ে চার্জ কিছুটা বেশি পড়লেও সুযোগ সুবিধা বেশি।

বিমান সচিব মহিবুল হক বলেন, এখানে আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা রয়েছে। চার্জ একটু কম বেশি হতেই পারে। একটু ভালো কিছু পেতে হলে চার্জ বেশি হতেই পারে। গেল বছরে বিমান কার্গো পরিবহন করেছে ৩৬ হাজার টন। এই সময় বিমান কার্গো পরিবহন ও হ্যান্ডলিং করে আয় করেছে ৬৯৬ কোটি টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিমান ১৩ হাজার ৩২২ টন কার্গো পরিবহন করে আয় করে ২৭০ কোটি টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিমান ১০ হাজার ৮৬ টন কার্গো পরিবহন করে আয় করেছে ১৯৭ কোটি টাকা। অনুলিখন : মাজহারুল ইসলাম, সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়