মরিয়ম আদরী: ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাজাফে ইরানি দূতাবাসে ঢুকে সেখানে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। ইরাকের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বুধবার এই ঘটনার পর স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কারফিউ জারি করেছে। বিবিসি, আল জাজিরা
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা কনস্যুলেটে প্রবেশের আগেই কনস্যুলেটের কর্মীরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছিল। গত তিন সপ্তাহ আগে শিয়া নগরীর পবিত্র শহর কারবালায় হামলার পর চলতি মাসে ইরানি কনস্যুলেটে ইরাকের বিক্ষোভকারীদের উপর এটি দ্বিতীয় হামলার ঘটনা। চলমান এই বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪৪ জন মানুষ নিহত হয়েছে।
আল জাজিরার বাগদাদী প্রতিবেদক মোহাম্মদ জামজুম বলেন, ‘শিয়া মতালম্বীদের পবিত্র শহর নাজাফের এই ঘটনা উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিষ্কার ইঙ্গিত। এতে সংকট আরও বাড়বে বলে জানান তিনি।’
মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানায়, বিক্ষোভকারীদের ইরানি দূতাবাসে প্রবেশে বাধা দিতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে এক বিক্ষোভকারী নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়। তা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে ইরানের পতাকা নামিয়ে ইরাকের পতাকা উড়িয়ে দেয়। দূতাবাস কর্মীরা পিছনের দরজা ব্যবহার করে নিরাপদে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
কর্মসংস্থানের সংকট,নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গত ১ অক্টোবর বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। ইরাকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ইরানসহ আঞ্চলিক কয়েকটি দেশের প্রভাব নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে তাদের। নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের অনুসারী না হয়েও অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের আওয়াজ নিয়ে রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে তাদের ওপর চড়াও হলে এই বিক্ষোভ আরও জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। সম্পাদনা:রাশিদ রিয়াজ
আপনার মতামত লিখুন :