আসিফুজ্জামান পৃথিল : সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন চালানোয় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে গাম্বিয়া। একই অভিযোগে দেশটির বেসামরিক নেত্রী অং সান সুচির সহ নেতাদের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার এক আদালতে মামলা হয়েছে। গাম্বিয়ার করা মামলাটি মিয়ানমারের যে বি্েযশষজ্ঞ প্যানেল লড়বে, তাতে নেতৃত্ব দেবেন সয়ং সুচি। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এই নোবেল বিজয়ীর যে সামান্য সম্মান টিকে আছে, মামলায় লড়লে তাও ধুলোও মিশিয়ে যেতে পারে। ব্যাংকক পোস্ট
মিয়ানমারের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিউ থিন এ বিষয়ে ব্যাংকক পোস্টকে বলেন, ‘মিয়ানমার মামলাটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে।’ যে কনভেনশনের আওতায় মিয়ানমারের বিচার রচেয়েছে গাম্বিয়া ১৯৫৬ সালে তাতে স্বাক্ষর করেছিলো দেশটি। অপরাধ প্রমাণিত হলে এতে অবশ্যই একঘরে হয়ে পড়বে নেপিউদো। আর সরাসরি মামলা লড়ায়, সুকিও এর ব্যতিক্রম হবেন না। সুকির মামলা লড়তে চাওয়া কূটনীতিবীদদের জন্য বড় ধরণের ধাক্কা হয়েই এসেছে। মিয়ানমারের বক্তব্যে এটি স্পষ্ট তারা বিষয়টিকে মোটের গুরুত্ব না দেয়ার ভান করছেন। ঠিক একইভাবে তারা জাতিসংঘের তদন্ত দলকেও অবহেলা করেছিলো। অবহেলা করেছিলো কফি আনান কমিশনকে। তবে আন্তর্জঅতিক বিচার আদালতকে অবহেলা করা ততটাও সহজ হবে না।
মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামান্য নয়। অত্যন্ত গুরুতর। মিয়ানমার বড় পরিসরে হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ আর লুটতরাজের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। এর একটাও যদি প্রমাণিত হয়, এর পক্ষ নেয়া একজন শান্তিতে নোবেলজয়ীর জন্য কোনওভাবেই সম্মানজনক হবে না। তিনি সারা জীবন ধরে যে বিশ্বাসযোগ্যতা আর সম্মান অর্জন করেছিলেন, তা এক ফুতকারেই উড়ে যাবে। সুচির জন্য সম্ভবত অত্যন্ত খারাপ সময় ঘনিয়ে আসছে।
আপনার মতামত লিখুন :