মাজহারুল ইসলাম : বিজ্ঞানীরা এমন এক বিস্ফোরণের সাক্ষী হলেন যাকে বিগ ব্যাংয়ের পর এ যাবতকালের সবচেয়ে শক্তিশালী মহাজাগতিক বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণটি ঘটেছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত একটি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঘটলেও কল্পনাতীত শক্তিশালী ছিলো এই বিস্ফোরণ। এই প্রকান্ড বিস্ফোরণটি থেকে পৃথিবীতে গামা রশ্মি পৌঁছেছিলো চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন নির্মিত নিল গেরেলস সুইফট অবজার্ভেটরি এবং ফারমি গামা-রে স্পেস টেলিস্কোপ এই দু’টো স্পেস স্যাটেলাইটে ধরা পড়ে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণটির নাম দেয়া হয়েছে এজই-Q GRB-190114C । সূত্র : অনলাইন
বিস্ফোরণ চিহ্নিত করার কাজে নিয়োজিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩শ’র বেশি মহাকাশবিদ জানিয়েছেন, এতো উজ্জ্বল আলো পৃথিবী থেকে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। তাতে এতো বেশি তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মির বিচ্ছুরণ ঘটেছে যা ৭শ’ কোটি আলোকবর্ষ পেরিয়ে পৃথিবীতে এসে পৌঁছে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণটি থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে এতো বেশি শক্তি নির্গত হয়েছে যা আমাদের সূর্য তার এক হাজার কোটির বছরের জীবনে হয়তো পুড়িয়ে শেষ করতে পারবে। চলতি সপ্তাহে এ আবিষ্কারের ঘোষণা দেন ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক বিজ্ঞানী।
বিগ ব্যাংয়ের পর এতো বড় মাপের গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ এটাই প্রথম বলে গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন এর অন্যতম লেখক ড. জেমা অ্যান্ডারসন। তিনি জানান, এ ধরনের বিস্ফোরণ শুধু তখনই শনাক্ত করা সম্ভব হয়, যখন এর রশ্মিগুলো সরাসরি পৃথিবী লক্ষ্য করে বিচ্ছুরিত হয়। এগুলো কয়েক মিলিসেকেন্ড থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। সাধারণত অতি বৃহৎ আকারের কোনো নক্ষত্র ভেঙে সুপারনোভা পর্যায়ের বিস্ফোরণ ঘটলে এতো বিপুল পরিমাণে গামা রশ্মি বিচ্ছুরণ হয়। এ ধরনের বিস্ফোরণের ফলেই তৈরি হয় বø্যাক হোল। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :