আসিফ কাজল : অসংক্রামক ব্যাধির কারণে প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় চার কোটি ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। যা মোট মৃত্যুর শতকরা ৭১ শতাংশ। অসংক্রামক রোগের ফলে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী দারিদ্রতা সৃষ্টি এবং আর্থিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। ভবিষ্যতে অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের আবদান ও করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে রাজধানীতে শুরু হয়েছে ‘দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী সম্মেলন-২০১৯’।
গতকাল শুক্রবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে আইসিডিডিআরবি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ব্র্যাক জেমস পি. গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ এবং সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশের সহযোগিতায় তিনদিনব্যাপী এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবছর সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো- ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনে অসংক্রামক ব্যাধির নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্ভাবনা’।
সম্মেলনটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কমিউনিটি ক্লিনিক হেলথ সাপোর্ট ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাসসের আলী। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো- কমিউনিটি ক্লিনিক যার মাধ্যমে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের দোরগোড়ায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে টিকাদান, অপরিহার্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং পরিবার পরিকল্পনা প্রসারে কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান অনস্বীকার্য বলে জানান তিনি।
সম্মেলনটিকে ঘিরে সারা বিশ্বের ৩৫টি দেশ থকে অংশগ্রহণকারীরা এসেছে। আয়োজকরা জানান, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় গ্রামীণ জনগোষ্ঠী কীভাবে অসংক্রামক রোগ মোকাবিলা করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যে একটি কৌশলপত্র প্রণয়নের সুপারিশমালা উপস্থাপন করবে। এই উদ্যোগ সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়তা করবে।
আপনার মতামত লিখুন :