লাইজুল ইসলাম : কোনোভাবেই যেনো দেশি পেঁয়াজের দর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে বেশ বিপাকে পড়ছে ক্রেতারা। বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলার পর দেশে পেঁয়াজের দাম কমতে থাকে। তিন দিনেই দেশি পেঁয়াজের দাম ২৫০ থেকে ১৫০ টাকায় নেমে আসে কিন্তু পরিবহন ধর্মঘটের দোহাই দিয়ে আবারও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কথা বলছেন পাইকারি ব্যবাসয়ীরা।
শুক্রবার সকালে কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে খুচরা ও পাইকারি বাজারে কিন্তু দাম বাড়েনি আমদানিকৃত মিসরের পেঁয়াজের। মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারি বাজরে আগের দামেই রয়েছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা অনেকেই দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে মিয়ানমারের পেঁয়াজ মিলিয়ে বিক্রি করছেন বাড়তি দামে।
খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রকার ভেদে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২১০ টাকায়। ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। পাবনা ও কুষ্টিয়ার পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২১০ ও ১৯০ টাকা দরে। আমদানি করা মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা । মিয়ানমারের পেঁয়াজও পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবাসয়ীরা বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বেশি রাখলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা তো আর লোকসান দিয়ে বিক্রি করতে পারবো না।
এদিকে, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গেলো দুই দিনের তুলনায় অন্তত ২০টাকা বেশিতে। মঙ্গলবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ১৫০টাকায় সেই পেঁয়াজ আজ (নভেম্বর) বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ১৭০ বা ১৮০ টাকায়, সেগুলো বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকায়।
পাইকারি ব্যবসায়ী বলছেন, এখনো দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসেনি। তাছাড়া, পরিবহন ধর্মঘটের কারনে মোকামে (আড়ত) পেঁয়াজ আসেনি। তাই কেজি প্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা পেঁয়াজের কেজি প্রতি দাম বেড়েছে। তবে আমদানিকৃত মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকা দরে।
বাজার করতে এসে বাবু এডোয়ার্ড বলেন, পেঁয়াজের দাম কমলো শুনে এসেছি কিন্তু আজ আবারও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা করে। আর পাইকারী বাজারে এসে দেখি আড়াই কেজির কমে বিক্রি করবেন না। এখানেও ১৯০ টাকা করে কেজি প্রতি দাম চাওয়া হয়েছে। কোনো কিছুর ওপরই সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আপনার মতামত লিখুন :