শিরোনাম
◈ ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ট্রাম্পের ফোন, কী কথা হলো দু’জনের ◈ ট্রাম্পের জয়কে বাংলাদেশের আঙ্গিকে ভারত যেভাবে দেখছে ◈ যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সম্মান করুক: ম্যাথিউ মিলার ◈ শীতকাল এবার কেমন হবে-জানালেন আবহাওয়াবিদরা ◈ লুৎফুজ্জামান বাবর গুরুতর অসুস্থ, মেডিকেল বোর্ড গঠন ◈ আইপিএলে মোস্তাফিজ ২ কোটি, সাকিব-মিরাজ কত…? ◈ পার্বত্য অঞ্চল আমাদের দেশের একটি বিরাট সম্পদ, সেখানকার শান্তির জন্য যা দরকার তাই করা হবে: সেনাপ্রধান (ভিডিও) ◈ ট্রাম্পের ঘোষণায় শঙ্কায় ১০ লাখ ভারতীয় : ‘জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিকত্ব নয়’ ◈ বাংলাদেশ শিল্পকলার সামনে দু'পক্ষের হাতাহাতি, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ অফিসে শুয়ে থাকে হাগু করে এইটা কেমন কথা, পরিস্কার করতে বললেন শেখ হাসিনা!

প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:৪৩ সকাল
আপডেট : ২২ নভেম্বর, ২০১৯, ০৬:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডাক্তার শূণ্য চালিতাবুনিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র

মো. সোহাগ হোসেন, মির্জাগঞ্জ : স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে, আছে রোগীও শুধু চিকিৎসার জন্য নেই কোনো ডাক্তার। এমই একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দেখা মিলেছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে। উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের সুলতানাবাদ এলাকার চালিতাবুনিয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ বেহাল দশা। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসার জন্য নেই কোনো চিকিৎসক। ওই এলাকার অসহায় রোগীদের দেখার কেউ নেই। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের দরজায় ঝুলছে তালা, চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক সংকট থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির একমাত্র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তার পরিবর্তে কোনো ডাক্তার দেওয়া হয়নি ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এছাড়া, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট পদটিও রয়েছে শূণ্য। একজন পিওন দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। ডাক্তার বা কোনো কর্মকর্তা না থাকায় সেও অনুপস্থিত থাকে বলে জানান এলাকাবাসী। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসার অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ইউনিয়নের ভয়াং, সুলতানাবাদ, মজিদবাড়িয়া ও চালিতাবুনিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের হাজারও মানুষ। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নারী, বৃদ্ধাসহ শিশুদের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো ডাক্তার বা কর্মচারী না থাকায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি রয়েছে তালাবদ্ধ। দূরদুরান্ত থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ডাক্তারের দেখা না পেয়ে হতাশা নিয়ে ফিরে যাচ্ছে বাড়িতে।

চিকিৎসা নিতে আসা সুলতানাবাদ গ্রামের রানী বেগম বলেন, এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র দীর্ঘ দিন ধরে কোনো ডাক্তার আসে না। চিকিৎসা নিতে এসে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে কয়েক কিলোমিটার পথ ঘুরে ছুটে যেতে হচ্ছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির পার্শ্বে মজিবর নামে এক দোকানদার বলেন, দীর্ঘ ৩-৪ মাস ধরে দেখছি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। কোনো ডাক্তার বা কর্মচারী আসে না। প্রতিদিন চিকিৎসার জন্য অনেক মানুষ আসে কিন্তু ডাক্তার না পেয়ে তারা চলে যায়।

এব্যাপারে উপজেল স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজার সঙ্গে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, চিকিৎসক সংকটের জন্য ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার মেহেদী হাসানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রে আনা হয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে ডাক্তার না থাকায় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না এলাকাবাসী। এব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি শ্রীঘ্রই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে চিকিৎসক পাওয়া  যাবে। সম্পাদনা : জেরিন মাশফিক

 

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়