বাসস : পিরোজপুর জেলায় ২ হাজার ৭শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে রবিশস্য চাষাবাদে ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮শ টাকা প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। কৃষি অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে এ কৃষি প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়। রবি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ ও খরিপ-২ মৌসুমে শীতকালীন মুগ, ভুট্টা ও সূর্যমূখী চাষে এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
মুগ, ভুট্টা ও সূর্যমূখীর ক্ষুদ্র প্রান্তিক চাষীদের প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা প্রদান করার প্রস্তুতি পিরোজপুরের কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছে। এ নিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭শত জন ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮ শত টাকার বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করছে। পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌর এলাকার ১ হাজার জন ভুট্টা চাষীকে প্রতি বিঘার জন্য ২ কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি প্রদান করছে।
একই এলাকার ৯শ জন শীতকালীন মুগ চাষীর প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ১০ কেজি এমওপি এবং ৫শ জন গ্রীষ্মকালীন মুগ চাষীর প্রত্যেককে একই পরিমাণ বীজ ও সার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৩শ জন সূর্যমূখী চাষীর প্রত্যেককে দেড় কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার দেয়া হচ্ছে।
পিরোজপুরের জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অরুন রায় জানান, এর ফলে চাষীরা এসব ফসল চাষাবাদে উৎসাহী হচ্ছে এবং ডাল ও সূর্যমূখী উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনুলিখন : ম. সিদ্দিকা সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :