দেশ রূপান্তর : তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। এই হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি ২৫ জন। এদের মধ্যে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই ৪ আসামির অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ ।
পলাতক ৪ আসামির মধ্যে মুজতবা রাফিদ (২১) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের। অপর ৩ আসামি ১৭তম ব্যাচের। তারা হলেন ,ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোর্শেদ উজ জামান ওরফে জিসান (২২), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মোর্শেদ ওরফে মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (২১)।
পলাতক ওই ৪ আসামির সবাই ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সময় শেরেবাংলা হলেই ছিলেন। তাদের কেউ সরাসরি মারধরে অংশ নিয়েছেন, কেউ পরোক্ষভাবে উসকানি দিয়েছেন। তবে আবরারের মৃত্যুর পর তারা কৌশলে হল থেকে পালিয়ে যান। এরপর সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা দিয়ে তারা বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি, এই ৪ আসামির মধ্যে অন্তত ২জন মোর্শেদ ও জিসান উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। কারণ ৬ অক্টোবরের পর থেকে কয়েক দিন তাদের অবস্থান সীমান্তবর্তী এলাকায় পাওয়া গেলেও তারপর আর তাদের অবস্থান জানা যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল আরাফাত লেনিন বলেন, চার্জশিটভুক্ত পলাতক ৪ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তারা মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার এড়িয়ে চলছেন। এ কারণে তাদের পক্ষে পলাতক ৪ আসামির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। অনুলিখন : খালিদ আহমেদ, সম্পাদনা : মাজহারুল ইসলাম