সালেহ্ বিপ্লব : ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশন এলাকার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মধ্যে চাঁদপুরের ৫ জনের পরিচয় এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করেছে সেখানকার প্রশাসন।
চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুর রহমান (৫৫), বালিয়ার ফারজানা (১৫), হাইমচরের কাকলী (২০), হাইমচরের মরিয়ম (৪)।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার মন্দবাগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন দুটির মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। এতে উদয়ন ট্রেনের কয়েকটি বগি আরেকটি ট্রেনের ওপর উঠে যায়।
স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনকে মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে। উদয়নের তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে এখন পর্যন্ত পাঁচটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেললাইন থেকে বগি সরানোর কাজ করছে দু’টি রিলিফ ট্রেন। এছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ করছে। দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে এক লাখ টাকা এবং আহতদের ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। এছাড়া, নিহতদের দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।