রবিউল আলম : আমাদের দেশের অনেক নেতা, সরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, পুলিশ, শিল্পপতি আজ অস্বাভাবিক অর্থের মালিক। পুলিশ পদক পায়, সামাজিক কাজের জন্য স্বীকৃতি, রপ্তানির জন্য পুরস্কার, মানবসেবার জন্য জনসম্মুখে কেস দেয়া হয়। একই লোকের চেহেরা দেখতে হয় র্যাব-পুলিশে হ্যান্ডকাফ ও হেলমেট পরা অবস্থা কারাগারে। আমরা যারা এই গুণী মানুষগুলোকে মানব সমাজে পরিচিত করানো জন্য দিনের পর দিন অক্লান্ত শ্রম বিনিময় করেছি, আমাদের মনের অবস্থা বিবেচনা করবে কে? দুর্নীতি দমন অভিযানের পরও অনেকে অনেক দুর্নীতিবাজের পক্ষে ফেসবুকে গুণকীর্তন করছেন। অনেক দুর্নীতিবাজ পুলিশ অফিসার এখনো জবাবদিহিতায় আসেনি, অস্বাভাবিক অর্থের মালিক হয়েছেন। তারাও ফেসবুক, পত্র-পত্রিকায় প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে সমাজে ফেরেশতা হওয়ার অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযানে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু কর্মকর্তার নামও যুক্ত হয়েছে, সরকারের ও প্রশাসনের অনেক রাঘববোয়াল অভিযানের জালে। তার পরও কি আমরা সচেতন। টাকার কাছে বন্দি, বন্দি আমাদের মন। কেন এই দুর্নীতিবাজদের সুপ্রচারণার অংশ হই। কেন তাদের অপকর্মকে প্রচারণায় আনতে পারছি না। কেন সরকারকে সঠিক তথ্য দিতে পারছি না। কোথায় বাধা? একবারও মনে করতে পারছি না, এই অবৈধ অর্থ জাতীয় সম্পদ, আমারও হক আছে। আমাকেই রক্ষা করতে হবে, কেন ভাবতে পারছি না। জাতির জনকের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘সবাই পাইছে তেলের খনি, আমি পাইছি চোরের খনি’, আমরা সে কথার যথার্থ প্রমাণ করছি ফেসবুকে। নাকি শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে এই চোরদের প্রতিরোধে। জাতি আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাস, দখলবাজ, নারী নির্যাতনকারীদের থেকে মুক্ত হতে। দেশ উন্নয়ন চলছে। বিশ্ব আজ তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। অপরাধমুক্ত করতে একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবে আমার বিশ্বাস। মাটির নিচ থেকে তুলে আনবেন অপরাধীকে। এই দুর্নীতি বিরোধী অভিযান হোক বাংলার শেষ অভিযান, আমরা সে আশায় থাকলাম। লেখক : রাজনীতিবিদ
আপনার মতামত লিখুন :