আসিফুজ্জামান পৃথিল : এই রায় ইতিহাসের প্রতি বিশ্বাসকে অবমূল্যায়ন করেছে এবং ইতিহাসকে ধর্মীয় বিশ্বাস দ্বারা প্রতিস্থাপিত করার চেষ্টা করেছে। অযোধ্যা মামলার রায় সম্পর্কে এই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রখ্যঅত ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপড়। রোমিলার মতে এই রায় একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত যা কয়েক বছর আগেই নেয়া হয়ে গিয়েছিলো। দ্য হিন্দু।
এই রায়ের মূল লক্ষ্যই ছিলো জায়গার ভাগবাটোয়ারা আর পুরাতন মসজিদের জায়গা নতুন মন্দিরের জন্য দিয়ে দেয়া। সমস্যা হলো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যসাধন জড়িয়ে গেছে। এ কারণে এই রায়ে ঐতিহাসিক প্রমানাদি স্থান পায়নি। আদালত ঘোষণা দিয়েছে, এই স্থানে একজন দৈবিক বা আধা দৈবিক ব্যক্তি জন্মেছিলেন। তার জন্মকে স্বরণ করে এখানে একটি নতুন মন্দির নির্মান করা হবে। এই রায়ে রেফারেন্স দেয়া হয়েছে বিশ্বাসের। কোনো প্রামান্য দলির নয়। আমরা কখনই আদালতের কাছে এ ধরণের বিচার আশা করি না। হিন্দুরা রামকে দেবতা হিসেবে বিশ্বাস করতেই পারে। কিন্তু এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে তার জন্মস্থান নির্ধারণ করা যায় না। শুধু বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক নিদর্শনের ধ্বংস মেনে নেয়া যায় কী?
নতুন মন্দির নির্মানের যুক্তি হিসেবে আদালত বলেছে, মন্দিরের স্থানে ১২ শতকে নির্মিত একটি মন্দির ছিলো। আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার খনন এই ধারণাকে সমর্থন করলেও স্বাধীন প্রত্নতাত্তিক¡কেরা এর সঙ্গে দ্বিমত করেন। বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পেশাদার বিশেষজ্ঞদের বিষয়। কিন্তু ধর্মীয় পদ্ধতির বিষয় নয়। কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো আদালত ধর্মিয় পন্ডিত তদের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়েছে, ইতিহাসবিদদের মন্তব্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :